আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হচ্ছে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষকে

আজ শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যা ৬ টায় বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে ধরে নিয়ে সকাল ১০টা থেকে উপকূলীয় জেলাগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হচ্ছে। কারণ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ পুরো বাংলাদেশ ঘূর্ণিঝড়ের আওতায় থাকবে।

আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামাল জানিয়েছেন, ‘উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষকে সকাল ১০টা থেকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হবে। এ ছাড়াও তাদের শুকনা খাবার ও পানি দিতে হবে। ১৯টি উপকূলীয় জেলায় ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নির্দেশনার সঙ্গে সঙ্গে তারা মানুষদের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসবে।’

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আজ শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ পুরো বাংলাদেশ ঘূর্ণিঝড়ের আওতায় থাকবে। এই সময়টা ক্রিটিক্যাল। উচ্চগতির বাতাস ও দমকা ঝোড়ো হাওয়ার সময় সবাইকে নিরাপদে থাকতে হবে। ঘূর্ণিঝড়টি শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে সারা রাত বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাবে। সেসময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০-১২০ কিলোমিটার থাকতে পারে। তিনি বলেন, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী উপকূল অতিক্রম করার সময় বাংলাদেশের উপকূলীয় নিচু এলাকাগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!