প্রশ্ন ফাঁস রোধে কঠোর অবস্থানে চবি প্রশাসন

প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসন। এ বিষয়ে জড়িতদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

বুধবার  চবি উপাচার্যের সভাকক্ষে আয়োজিত ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা পরিদর্শন সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, প্রশ্ন ফাঁস ও ডিভাইস জালিয়াতি দুইটা ভিন্ন জিনিস। এই দুটি ভিন্ন ধরনের অপরাধ। প্রশ্নপত্র সংক্রান্ত
যেকোন অভিযোগ লিখিত প্রমাণসহ পরীক্ষার্থীরা হলে ঢুকার ঠিক ১ঘন্টা আগে পর্যন্ত যদি কারো কোন অভিযোগ থাকে তাহলে পরীক্ষা ইউনিটের যিনি প্রধান থাকেন তার কাছে জমা দিবেন।তাহলে এর কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু যেই পরীক্ষার্থী হলে ঢুকে যাবে তারপর থেকে কোন ধরনের অভিযোগ গৃহীত হবেনা।

তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকসহ অন্যকোন মাধ্যমে পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে যে কোন ধরনের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেননা।

তিনি আরও জানান, পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৫(পাঁচ) মিনিট পূর্বে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলা যাবে।কোন অবস্থায় এর আগে প্যাকেট খোলা যাবে না।
পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১৫ (পনের) মিনিট পূর্বে ফ্যাকাল্টি /কেন্দ্র ভবনের মূল ফটক/গেইট বন্ধ করে দেয়া হবে। এর পর পরীক্ষার হলে কোন পরীক্ষার্থী প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।প্রতি পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে উত্তরপত্রের সাথে প্রশ্নপত্রও জমা নেয়া হবে। কোন পরীক্ষার্থীকে প্রশ্নপত্র নিয়ে হলের বাইরে কোন অবস্থাতেই যেতে দেয়া যাবেনা।
যেসব পরীক্ষার্থী ইংরেজি মাধ্যমে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক তারা সিট প্ল্যান অনুয়ায়ী নির্দিষ্ট হলে উপস্থিত হয়ে পরিদর্শক নিয়ন্ত্রণ কক্ষে অবহিত করবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং ডিভাইস জালিয়াতি দুটি ভিন্ন বিষয়। প্রশ্নপত্র ফাঁস ধরা হবে তখন যেই প্রশ্নটি আমরা পরীক্ষার হলে দিব ঐ ধরনের হুবহু আরেকটি প্রশ্ন হতে হবে। কারণ পরীক্ষার্থীদের প্রশ্ন কমন পড়তেই পারে। কোচিং সেন্টার গুলো যেভাবে নিশ্চয়তা দিয়ে পড়ায় তাতে কিছু প্রশ্ন কমন পড়তেই পারে। এটাকে আমরা কখনও প্রশ্ন ফাঁস বলবো না। প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী যদি পুরো প্রশ্ন পেয়ে থাকে তাহলে পুরো প্রশ্নই দিবে।আংশিক দিবে কেনো।

ডিভাইস জালিয়াতির বিষয়ে বলেন, প্রশ্নপত্র দেয়ার পর যদি কেউ ঐ প্রশ্ন ছবি করে বা অন্যকোন মাধ্যমে বাইরে পাঠাতে পারে তাহলে সেই জালিয়াতি করার সুযোগ পাবে।কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার হলে কোন প্রার্থীর কাছে এরূপ কোন ডিভাইস সঙ্গে রাখা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। যদি পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে অবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে সকাল শিফটে ঠিক ৯টা ৪৫ মিনিটের আগে এবং বিকাল শিফটে দুপুর ২টা ১৫ মিনিটের আগে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। পরীক্ষার্থীকে ওএমআরশিট দেয়া হবে ৩০মিনিট পরে এবং ওএমআর শিট দেয়ার ৪৫ মিনিট পর প্রশ্নপত্র দেয়া হবে।ঠিক এক ঘন্টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।অর্থাৎ সকাল শিফটে সকাল ১১টা থেকে ১২টা এবং বিকাল শিফটে ৩টা ৩০ থেকে ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

আইসিটি সেলের পরিচালক হানিফ সিদ্দিকী জানিয়েছেন, পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৪৮ ঘন্টা আগে আসন  জানিয়ে দেয়া হবে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!