প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ পরীক্ষা শুরুর আগে গৃহীত হবে – চবি উপাচার্য

জুবাইর উদ্দিন, চবি : কোন ইউনিটের পরীক্ষা শুরু হওয়ার  ১ঘন্টা আগে ঐ ইউনিটের হুবহু প্রশ্নপত্র অর্থাৎ পরীক্ষার হলে যে প্রশ্নটি দেয়া হবে সেই প্রশ্নের শতভাগ তথ্য প্রমাণাদিসহ যদি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয় তাহলে সেটাকে প্রশ্নপত্র ফাঁস বলে ধরা হবে এবং এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে পরীক্ষার্থীরা হলে ঢুকে যাওয়ার পর থেকে এই বিষয়ে আর কোন অভিযোগ গৃহিত হবে না।

গতকাল বুধবার ( ২৪ অক্টোবর ) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এই বিষয়ে স্পষ্ট করে জানান।

তিনি বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস ও ডিভাইস জালিয়াতি দুইটা ভিন্ন জিনিস। এই দুটি ভিন্ন ধরনের অপরাধ। এ বিষয়ে কারো কাছে কোন অভিযোগ দৃষ্টিগোচর হলে তা ১ম ও ২য় শিফটে নির্ধারিত পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ সময়ের নূন্যতম ১(এক) ঘন্টা পূর্বে (যেমনঃ ১ম শিফটে সকাল ৮ঃ৪৫ মিনিট ও ২য় শিফটে দুপুর ১ঃ১৫ মিনিটের পূর্বে) সকল প্রমাণাদিসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিট কো-অর্ডিনেটরের কাছে লিখিত অভিযোগ করা যাবে। এ সময়ের পরে পরীক্ষা বা প্রশ্নপত্র সংক্রান্ত কোন অভিযোগ গ্রহণ করা হবে না।

এই বিষয়ে আরও স্পষ্ট করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং ডিভাইস জালিয়াতি দুটি ভিন্ন বিষয়। প্রশ্নপত্র ফাঁস ধরা হবে তখন, যেই প্রশ্নটি আমরা পরীক্ষার হলে দিব ঐ ধরনের হুবহু আরেকটি প্রশ্ন হতে হবে। কারণ পরীক্ষার্থীদের প্রশ্ন কমন পড়তেই পারে। কোচিং সেন্টার গুলো যেভাবে নিশ্চয়তা দিয়ে পড়ায় তাতে কিছু প্রশ্ন কমন পড়তেই পারে। এটাকে আমরা কখনও প্রশ্ন ফাঁস বলবো না। প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী যদি পুরো প্রশ্ন পেয়ে থাকে তাহলে পুরো প্রশ্নই দিবে।আংশিক দিবে কেনো।

ডিভাইস জালিয়াতির বিষয়ে বলেন, প্রশ্নপত্র দেয়ার পর যদি কেউ ঐ প্রশ্ন ছবি করে বা অন্যকোন মাধ্যমে বাইরে পাঠাতে পারে তাহলে সেই জালিয়াতি করার সুযোগ পাবে।কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার হলে কোন প্রার্থীর কাছে এরূপ কোন ডিভাইস সঙ্গে রাখা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। যদি পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে অবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, প্রশ্নপত্র ফাঁস ও ডিভাইস জালিয়াতি রোধে কঠোর অবস্থানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।