চবির সহকারি প্রক্টরসহ ১০জনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ

চবির সহকারি প্রক্টরসহ ১০জনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ 1নিজস্ব প্রতিবেদক : ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও সিটি মেয়র নগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত দিয়াজ ইরফান চৌধুরী (২৭) হত্যা মামলার আসামী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি প্রক্টর আনোয়ার হোসেনসহ ১০ আসামীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসাথে তাদের দেশ্য ত্যাগের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

 

সহকারি প্রক্টর আনোয়ার হোসেনসহ ওয়ারেন্টভূক্ত আরও দশ আসামীর মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামশেদুল আলম চৌধুরী, স্থগিত কমিটির প্রচার সম্পাদক রাশেদুল আলম জিসান, ছাত্রলীগ কর্মী আবু তোরাব পরশ,আব্দুল মালেক, মিজানুর রহমান, আরিফুল হক অপু ও মোহাম্মদ আরমান। এছাড়া দিয়াজ হত্যা মামলায় আরও ৮-১০ জনকে আসামিক করা হয়েছিল।

 

সোমবার (০৭ আগস্ট) চট্টগ্রাম মুখ্য বিচারিক হাকিম মুন্সী মশিউর রহমানের দেয়া এক আদেশে, আসামীদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তারা যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য পাসর্পোর্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান, মামলার বাদির আইনজীবী ও দিয়াজের বড় বোন জুবাঈদা ছরওয়ার চৌধুরী নীপা।

 

‘আদেশের আগে আমার মা জাহেদা আমিন চৌধুরীর আবেদন আদালত গ্রহণ করে’ বলেন নীপা।

 

উল্লেখ্য, গত বছরের ২০ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দুই নম্বর গেট সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসা থেকে দিয়াজের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ দিয়াজ আত্মহত্যা করেছে বলে বক্তব্য দিলে শুরু থেকেই তার পরিবার অভিযোগ করে আসছিল, দিয়াজকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

 

এটি যে আত্মহত্যা নয় তা আরও পরিষ্কার হয় হত্যাকাণ্ডে পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ফরেনসিক বিভাগ প্রথম দফা ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে কিন্তু পরে যখন আদালতের নির্দেশে সিআইডি মামলা তদন্ত করে তখন দেখা গেছে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ। গত ৩০ জুলাই দ্বিতীয় ময়নাতদন্তে প্রতিবেদনে দিয়াজের মুত্যু আঘাতপূর্বক শ্বাসরোধজনিত বলে উল্লেখ করে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!