পাসের হারে চট্টগ্রাম মহানগরের চেয়ে বেড়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম

ব্যবসায় শিক্ষায় ছন্দপতন, যথারীতি এগিয়ে বিজ্ঞান

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় চট্টগ্রামে গতবারের তুলনায় এবার পাসের হার বেড়েছে। তবে নগরে এবার পাসের হার কমেছে। অপরদিকে মহানগরের তুলনায় পার্বত্য চট্টগ্রামে এবার ১ শতাংশ পাসের হার বেড়েছে। মহানগরে পাসের হার ৮৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ। গত বছর ছিল ৮৫ দশমিক ২২ শতাংশ। মহানগর বাদে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬০ শতাংশ। কক্সবাজার জেলায় এবার পাসের হার ৭৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ। তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে রাঙামাটিতে এবার পাসের হার সর্বোচ্চ ৬৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এছাড়া খাগড়াছড়ি জেলায় পাসের হার ৬৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং বান্দরবান জেলায় ৬৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

পাশাপাশি কমেছে পাসের হার ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে। এবার বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৯১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাসের হার ৮০ দশমিক ৮৫ শতাংশ। মানবিক বিভাগে পাসের হার ৬৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ। সেই ক্ষেত্রে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৯৫৪ জন। মানবিক বিভাগ থেকে ২৭ জন ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৪১২ জন।

পাসের হার বাড়লেও এবার কমেছে জিপিএ-৫ এর সংখ্যা। গত বছর এ পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৭৫ দশমিক ১১ শতাংশ। আর এবার সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮ দশমিক ১১ শতাংশ। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজার ৩৯৩ জন শিক্ষার্থী। তবে সেটি গত বছর ছিল ৮ হাজার ৯৪ শিক্ষার্থী।

সোমবার (৬ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহবুব হাসান নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

মাহবুব হাসান জানান, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এবার মোট ১৯০টি কেন্দ্রের অধীনে এক হাজার ৩০টি বিদ্যালয়ের এক লাখ ৪৯ হাজার ৯৯২ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে এক লাখ ১৬ হাজার ৮৫১ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার হচ্ছে ৭৮ দশমিক ১১ শতাংশ। এর মধ্যে ছাত্র পাসের হার ৭৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ আর ছাত্রী পাসের হার ৭৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজার ৩৯৩ জন। জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ছাত্র তিন হাজার ৬৫২ আর ছাত্রী তিন হাজার ৭৪১ জন।

বহিস্কৃৃত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৭ জন, যা গতবার ছিল ৭৫ জন। এক বিষয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫ হাজার ২৯০ জন। যা গতবার ছিল ২২ হাজার ৪০৮ জন। তবে এবার শতভাগ ফেল করেছে এমন বিদ্যালয় নেই। শতভাগ পাস করেছে এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা শতকরা ৩০ ভাগ। গতবার এ সংখ্যা ছিল শতকরা ২৭ ভাগ। এবার জিপিএ এর দিক দিয়ে এগিয়ে আছে কলেজিয়েট স্কুল, সরকারি মুসলিম হাই স্কুল, নাছিরাবাদ সরকারি বালক হাই স্কুল, ডা. খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।

এসআর/এডি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!