জিপিএ পাঁচে সেরা তবে শতভাগ পাশ হল না চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে

জিপিএ পাঁচে সেরা হলেও শতভাগ পাশ থেকে ছিটকে পড়লো চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল। এবারও এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে জিপিএ পাঁচের ভিত্তিতে প্রথম হয়েছে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল। তবে চার বছর পর এবার শতভাগ পাশের তালিকা থেকে বাদ বাড়লো চট্টগ্রামের ঐতিহবাহী এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। ২০১৩ সাল থেকে ছয় বছর কলেজিয়েট স্কুল জিপিএ পাঁচের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বোর্ডে প্রথম হয়ে এসেছে।

স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৯ সালে কলেজিয়েট স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ৪৫৭ জন পরীক্ষার্থী। এদের মধ্যে পাশ করেছে ৪৫৬ জন। এবারে পাশের হার ৯৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ। জিপিএ পাঁচ পেয়েছে ৪১১ জন। এ ফলাফল চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে সেরা। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল ৪৫৫ জন। ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে দুজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে পাশ করেছে একজন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া তথ্যমতে, ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এসএসসি পরীক্ষায় কলেজিয়েট স্কুল থেকে শতভাগ পরীক্ষার্থী পাশ করেছিল। এর মধ্যে ২০১৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ৪০৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৩৭৭, ২০১৬ সালে ৪০২ জনের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৩৮৭ জন, ২০১৭ সালে ৪৫২ জনের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪২৪ জন এবং গত ২০১৮ সালে ৪২৫ জনের মধ্যে জিপিএ পাঁচ পেয়েছিল ৩৯৯ জন।

এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ পাঁচ পাওয়া কলেজিয়েট স্কুলের পরীক্ষার্থী ফাগুন বড়ুয়া চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘অনেক দিনের কষ্টের ফসল জিপিএ পাঁচ পাওয়া। সবাই বলে দুই বছরের ফল। আমি বলি দশ বছরের ফল। সবার দোয়া ও স্কুলের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষকদের আন্তরিকতায় আমার এমন ফলাফল হয়েছে।’

কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত দাশ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘সার্বিকভাবে ফলাফল খুব ভালো হয়েছে। জিপিএ পাঁচের এর ভিত্তিতে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে আমরাই প্রথম হয়েছি।’

শিক্ষার্থীদেরকে যথাযথভাবে পাঠদান, ক্লাস ও মডেল টেস্ট নেওয়া, শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ও অভিভাবকদের সহযোগিতায় এমন ফলাফল অর্জন করা সম্ভব হয়েছে বলেও মনে করেন দেবব্রত দাশ।

চার বছর পর শতভাগ পাশের হার থেকে ছিটকে পড়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় দুজন পরীক্ষার্থীর মধ্যে এক জন অকৃতকার্য হয়েছে। সরকারি স্কুলে কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হয়। এছাড়া নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলেও এসএসসি পরীক্ষায় সবাইকে অ্যালাউ করতে হয়। কোটায় ভর্তি হওয়া একজন পরীক্ষার্থী খারাপ করায় আমরা শতভাগ পাশ থেকে ছিটকে পড়েছি।’

এমএ/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!