কওমি মাদ্রাসায় প্রশ্নপত্র যাবে প্রযুক্তির সহযোগিতায়

'দাওরায়ে হাদীসের' পরীক্ষা শনিবার থেকে যথারীতি চলবে

শুক্রবারের (২৬ এপ্রিল) পরীক্ষা হবে না। শনিবার থেকে আগের রুটিনে যথানিয়মে পরীক্ষা চলবে। আবু দাউদ শরীফের পরীক্ষা ১ মে অনুষ্ঠিত হবে। ত্বহাবী শরীফের পরীক্ষা ২ মে (বৃহস্পতিবার) দুপুর ২ টায় থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে। আগামী ৩ মে পরীক্ষা শেষ হবে।

কওমি মাদ্রাসাগুলোর নিয়ন্ত্রণাধীন কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক সংস্থা ‘আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর দাওরায়ে হাদীসের (তাকমিল) পরীক্ষা আগামী শনিবার থেকে যথারীতি চলবে। তবে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে দাওরায়ে হাদীসের বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এর আবু দাউদ শরিফের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

পরীক্ষা স্থগিত ও প্রশ্নফাঁসের ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজধানীর ঢাকর সেগুনবাগিচায় বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে জরুরি বৈঠক করেছেন কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হাইয়াতুল উলইয়ার শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

বৈঠকে বিশেষ করে প্রশ্নফাঁস রোধে তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় তত্ত্বাবধায়কের কাছে প্রশ্ন পাঠানোর বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। সিদ্ধান্তগুলো হলো, শুক্রবারের (২৬ এপ্রিল) পরীক্ষা হবে না। শনিবার থেকে আগের রুটিনে যথানিয়মে পরীক্ষা চলবে। আবু দাউদ শরীফের পরীক্ষা ১ মে অনুষ্ঠিত হবে। ত্বহাবী শরীফের পরীক্ষা ২ মে (বৃহস্পতিবার) দুপুর ২ টায় থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে। আগামী ৩ মে পরীক্ষা শেষ হবে।

প্রশ্নফাঁস রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে কথা হয়েছে এবং সম্পূর্ণ নতুন নিয়মে প্রশ্ন পাঠানো হবে বলে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন হাইয়ার সদস্য মাওলানা মুসহেহুদ্দিন রাজু। তিনি বলেন, এবার প্রশ্নফাঁস রোধে তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতা নেওয়া হবে।

বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির কো-চেয়ারম্যান আল্লামা আশরাফ আলী। এতে উপস্থিত ছিলেন সদস্য মুফতি ওয়াক্কাস, মুফতি রুহুল আমিন, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, মাওলানা মুসলিহ উদ্দীন রাজু, মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মুফতি এনামুল হক, মুফতি মুহাম্মদ আলী, মাওলানা আবদুল হামিদ (পীর শধুপুর), মাওলানা মাহফুজুল হক ও মুফতি নুরুল আমিন প্রমুখ।

এর আগে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠায় সম্মিলিত কওমি মাদরাসা শিক্ষা বিষয়ক সংস্থা হাইয়াতুল উলইয়ার চলমান দাওরায়ে হাদীস (তাকমিল) পরীক্ষা বাতিল হওয়ার পর গত ২৩ এপ্রিল (মঙ্গলবার) থেকে পুনরায় পরীক্ষা শুরু হয়।

৬টি কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক শিক্ষাবোর্ড থেকে প্রায় ২৬ হাজার ৭২১ পরীক্ষার্থী হাইয়াতুল উলইয়ার এর কেন্দ্রীয় এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে।

প্রসঙ্গত, জাতীয় সংসদে ‘কওমি মাদ্রাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিসের সনদকে আল হাইআতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’-এর অধীনে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদান বিল-২০১৮’ পাস করার পর প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

চলতি বছরে দেশের ৬টি কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রায় ২৬ হাজার ৭২১ শিক্ষার্থীর আল হাইআতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’-এর কেন্দ্রীয় এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। গত ৮ এপ্রিল থেকে দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা শুরু হয়ে ১৮ এপ্রিল পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল।

২০১৭ সালের ১১ এপ্রিল ২০১৭ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমি শিক্ষা সনদের মান ঘোষণা করার পর হাইআতুল উলইয়া অধীনে ৬ বোর্ডের সম্মিলিত দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা ইতোপূর্বেও দুবার (১৬-১৭ ও ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!