চায়ের দোকান থেকে ডেকে নিয়ে জেএসএস কর্মীকে গুলি

বান্দরবানের কুহালং ইউনিয়ন থেকে জয়মনি তঞ্চঙ্গ্যা নামে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি’র (জেএসএস) আরেক সমর্থকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি কুহালং ইউনিয়নের ৩ নং রাবার বাগান এলাকার ক্ষেতমনি তঞ্চঙ্গ্যার ছেলে। একদিন পরে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি’র (জেএসএস) আরেক সমর্থকের লাশ উদ্ধার করল বান্দরবান সদর থানা পুলিশ। পাহাড়ের কোন সশস্ত্র সংগঠন এ হত্যাকণ্ডের সাথে জড়িত তার কারণ খুঁজছে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুহালং ইউনিয়নের ৩নং রাবার বাগান থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

কুহালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সানপ্রু জানান, রাবার বাগান এলাকায় জয়মনি তঞ্চঙ্গ্যা চায়ের দোকান ছিল। প্রতিদিনের মত আজও দোকানে ব্যবসা করছিল সে। রাত সাড়ে সাতটার সময় কয়েকজন অপরিচিত লোক তাকে চায়ের দোকান থেকে ডেকে নিয়ে কিছুটা দূরে গুলি করে। তাকে রাবার বাগান এলাকায় গুলি করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। গুলিতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে গুলির আওয়াজ শুনে এলাকাবাসী এলাকার জনপ্রতিনিধি ও পুলিশকে খবর দেয়। রাতেই লাশ উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।

বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেছেন, রাবার বাগান থেকে জয়মনি নামে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা নিশ্চিত করে এখন বলা যাচ্ছে না।

বুধবার (৮ মে) রাতে উপজেলার রাজবিলার তাইংখালীর দাদাশ্বশুরের বাসা থেকে ডেকে নিয়ে বিনয় তঞ্চঙ্গ্যা নামে আরো একজনকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এছাড়াও একই দিন রাতে উপজেলার শৈলতান পাড়া থেকে পুরাধন তঞ্চঙ্গ্যা নামে আরো একজনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পুরাধনকে এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, মিয়ানমারের দলছুট বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান লিবারেশন আর্মির (এএলএ) সদস্য বা বান্দরবানে নতুন করে সক্রিয় হওয়া জেএসএস (সংস্কার) এ হত্যার সাথে জড়িত রয়েছে বলে মনে করছে স্থানীয়রা। তবে প্রশাসনের পক্ষ হতে এখনো বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। এদিকে নিহত বিনয় ও অপহৃত পুরাধন জেএসএস এর কর্মী ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

গত ১৪ এপ্রিল সন্ত্রাসীরা তাইংখালী বাজারে অংক্যচিং নামের জেএসএসের এক নেতাকে গুলি করলে সে মারাত্মক আহত হয়। বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্ত সংলগ্ন রাজবিলা এলাকাটিতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে জনসাধারণের মাঝে আতংক বিরাজ করে।