অভাবের তাড়নায় কখনো মন্ত্রীর ভাই আর কখনো ‘পিএস’ কিংবা সিনিয়র নেতা পরিচয়ে প্রতারনা করতেন ওসমান। মানিকছড়ি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেই তিন বছর আগে নগরে এসে পাহাড়তলী এলাকায় বসবাস তার। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাজনীতিতে মন্ত্রী কিংবা সিনিয়র নেতা সেজে কথা বললে যেকোন কাজ সহজে কার্যকর হয়, এমন ধারণা নিয়েই মন্ত্রীর ভাই কিংবা পিএস পরিচয়ে অনেক প্রতারণা করেছে ওসমান।
অবশেষে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ভাই আর কখনো পিএস সেজে প্রতারণা করায় ওসমান (২৬) নামের ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে সিএমপির কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
পুলিশের দাবি, ওসমান দীর্ঘদিন ধরে নওফেলের কন্ঠস্বর এবং পিএসের কন্ঠস্বর নকল করে প্রতারণা করে আসছিল। মঙ্গলবার ২১ মে দুপুরে কোতোয়ালী থানায় সংবাদ ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য জানান সিএমপির অতিরিক্ত উপ কমিশনার আবদুর রউফ। তিনি জানান, ইমু, ম্যাসেঞ্জার ওয়াটসঅ্যাপে নওফেলে ছবি দিয়ে আইডি খুলে এমন প্রতারণা মাধ্যমে চালায় ওসমান অনেকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
সে পুলিশকে জানায়, দীর্ঘ চার মাস ধরে অনেকের কাছে নওফেল সেজে টাকা দাবি করে আসছিল। সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেত্রী শ্রাবণীকে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কমিটিতে পদ দেয়ার নামে ২ লাখ টাকা দাবি করে। এর আগে চট্টগ্রাম নগরের শ্রমিকলীগ নেতা মাহবুবুল হক চৌধুরী এটলির কাছ থেকে নওফেল সেজে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন।
এছাড়াও পাহাড়তলী এলাকায় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের সাথে কথা বলেন নিজের বোনকে ভর্তি করান। সে বিভিন্ন মোবাইল সিম ব্যবহার করেই এসব অপকর্ম করে আসছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করে।
আবদুর রউফ বলেন, নওফেল সেজে প্রতারণার খবর আমরা অনেক আগেই পেয়েছিলাম। তাকে গ্রেফতার করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছে পুলিশ। অবশেষে নগরীর ডাবলমুরিং থানার ঝর্ণাপাড়া সিরাজ মিয়ার বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ওসমানের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি থানার ডাইনছড়ি বাঘনাতলী এলাকায়। সে ওই এলাকার আবদুল ওয়াদুদ ও আছিয়া বেগমের ছেলে।