শেষ মুহুর্ত্বে জমে উঠেছে চকরিয়ার কোরবানির পশুর হাট

মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া :
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসতে শুরু করেছে কোরবানির পশু। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ক্রেতা সমাগম বাড়ছে কক্সবাজারের চকরিয়ার কোরবানির পশুর হাটগুলোতে। প্রত্যেকেই কম দামের মধ্যে পছন্দের পশুটি কিনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে অনেক পশু মালিক মোটাতাজাকরণ ওষুধ খাওয়ানোর ফলে পশু কিনে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পর মারা যাচ্ছে বলে অভিযোগও করছেন।

pic-01-chakaria-10-09-16

 

এদিকে পশুর হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা যাতে প্রতারণা বা অন্য কোন সমস্যায় না পড়েন সেজন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজারগুলোতে ব্যাপক নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে হাট-বাজারগুলোতে ক্রেতা সমাগম কম থাকলেও গতকাল শনিবার থেকে বেড়ে গেছে ক্রেতা। এর ফলে পশু বিক্রেতাদের মাঝে এক ধরনের আনন্দ সৃষ্টি হয়েছে।

 
কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার ইলিশিয়া জমিলা বেগম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ ও ঘনশ্যাম বাজারে বসেছে বিশাল পশুর হাট। এখানে ছোট ও মাঝারি সাইজের দেশি গরু-ছাগল উঠেছে প্রচুর। তবে গরুর দাম একটু বেশি হওয়ায় মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো গরু কিনতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছে।
কাকারা থেকে আসা গরু ব্যবসায়ী নুর আহমদ জানান, তিনি গত একবছর ধরে  ৫টি গরু  লালন-পালন করেছেন। এবার সে গরুগুলো বাজারে বিক্রির জন্য  এনেছেন। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে গরুগুলো বড় করা হয়েছে। কোন ধরেনর মোটাতাজাকরণ ওষুধ খাওয়ানো হয়নি। আশা করছি গরুগুলো যে কারো পছন্দ হবে। ভাল দামও পাবো।

বাজারে গরু কিনতে আসা ফখরুল ইসলাম ফোরকান নামের এক ক্রেতা জানান, ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি দেশিয় গরু কিনেছি। গরুটি দেখতে বেশ সুন্দর। তবে গরুর সাইজের তুলনায় একটু দাম বেশি হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

 

আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক ( ওসি তদন্ত) মো.কামরুল আজম বলেন, উপজেলার সবগুলো পশুর হাটে পুলিশ মোতায়ের রয়েছে। যেকোন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে বলেও তিনি জানান।

 

এ এস / জি এম এম এম / আর এস পি :::

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!