মহাসড়কে ভীতি জাগিয়ে চকরিয়া ছাত্রলীগ নেতার জন্মদিন!

চকরিয়ার চিরিঙ্গায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে আতশবাজি ফুটিয়ে এলাকায় ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে পালিত হয়েছে এক ছাত্রলীগ নেতার জন্মদিন। আতশবাজির মুহূর্মুহূ আওয়াজে এ সময়ে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে আধঘন্টারও বেশি সময় বন্ধ ছিল যানচলাচলও।

জানা যায়, চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরহান মাহমুদ রুবেলের জন্মদিন উপলক্ষে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর থেকে চকরিয়ার পৌরশহর চিরিঙ্গায় কয়েকশত নেতা-কর্মী জড়ো হয়। রাত প্রায় সাড়ে ৮টায় নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে আতশবাজি ফোটাতে শুরু করে। এতে পৌরসভা এলাকার ব্যবসায়ীসহ জনমনে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হচ্ছে – এমন আতঙ্ক থেকে প্রধান সড়কে যানবাহন চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। আধঘন্টারও বেশি সময় চলাচল বন্ধ ছিল বলে জানান স্থানীয় লোকজন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে চকরিয়া পৌর এলাকার এক ব্যবসায়ী নেতা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘চকরিয়ার মানুষ এমনিতেই নানা কারণে আতঙ্কে থাকে। রাতের আঁধারে আতশবাজি ফুটিয়ে ছাত্রলীগ নেতার জন্মদিন পালনে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে হঠাৎ করে। ব্যবসায়ীরা ছাড়াও সাধারণ মানুষও ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে গোলাগুলি হচ্ছে মনে করে একপর্যায়ে পালাতে থাকে।’

চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি বিব্রত এবং লজ্জিত! শৈশব-কৈশোর-যৌবনের সমস্ত সময়টুকু এই গর্বিত ছাত্রলীগের জন্য ব্যয় করেছি| তাও আবার চকরিয়া শহরেই, কিন্তু এরকম পরিস্থিতি কেউ দেখবে আমি কল্পনাও করতে পারিনি!’

চকরিয়া ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও স্কুলশিক্ষক শাহজাহান কবির বলেন, ‘জননেত্রীর জন্মদিনেও এরকম হয় বলে জানা নেই। এগুলো নিজে পরিচিত হওয়ার জন্য করা। ব্যক্তির রাজনীতি করে কখনো নেতা হওয়া যায় না।’

আমাদের চকরিয়া প্রতিনিধি মুকুল কান্তি দাশ জানান, মহাসড়কে আতশবাজি ফুটিয়ে জন্মদিন পালনের বিষয়ে ওই ছাত্রলীগ নেতা প্রশাসনের কোন আগাম অনুমতি নেয়নি বলে জানিয়েছেন থানা পুলিশ।

প্রসঙ্গত, চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কোনো কমিটি নেই। পাঁচ জনের কমিটি দিয়েই প্রায় ছয় মাস ধরে চলছে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!