ফের রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার ডুবি : ৭মৃতদেহ উদ্ধার

ফের রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার ডুবি : ৭মৃতদেহ উদ্ধার 1গিয়াস উদ্দিন ভুলু,টেকনাফ : মিয়ানমার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিনিয়ত,বর্তমানে যে সমস্ত রোহিঙ্গা সীমান্ত অতিক্রম করছে। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের নিজের জন্মভুমি থেকে বিতাড়িত করতে ভিন্ন কৌশল হাতে নিয়েছে। তথ্য সুত্রে জানা যায়,রাখাইন সেনা ও মগেরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে রোহিঙ্গাদের বলে আসছে তোমরা বাংলাদেশী! এই দেশে থাকতে হলে  (এনবিসি) লেখা নামে একটি সবুজ রঙের আইডি কার্ড গ্রহন করতে হবে। আর যদি এই কার্ডটি গ্রহন না কর, তাহলে তোমরা এই দেশ থেকে চলে যাও। তার পাশাপাশি অনেক অসহায় রোহিঙ্গা ঘরের বাহিরে গিয়ে কোন কাজকর্ম করতে না পেরে ক্ষুধার জ্বালা সইতে না পেরে রাখাইন রাজ্য ছেড়ে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ অব্যাহত রেখেছে।।
প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ শত রোহিঙ্গা নারী পুরুষের আগমন ঘটছে। তার মধ্যে বেশিরভাগ রোহিঙ্গা শাহপরীরদ্বীপের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ  করে আসছে। এদিকে রোহিঙ্গাদের আগমনের ভারসাম্য সইতে না পেরে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্ত কড়া নজরদারীতে রয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের সদস্যরা। কিন্তু প্রশাসনের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে অসাধু আদম পাচারকারী সিন্ডিকেটের সদস্যরা তাদের অপকর্ম অব্যাহত রেখেছে। সেই ধারাবাহিকতা নিয়ে গতকাল ৩০ অক্টোবর গভীর রাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেশখালীয়া পাড়া এলাকা সংলগ্ন  পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ৫০/৬০ জন রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে।এই ঘটনায় ৫ শিশুসহ এই পর্যন্ত ৭টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। এর মধ্যে ২জন মহেশখালীয়া পাড়া বীচ এলাকা, ৩ জন বাহারছড়া শামলা পুর ইউনিয়ন বীচ এলাকা,১ উখিয়া জালিয়া পালং,আর ১ টি শিশুর মৃতদেহ খবর পাওয়া যায় টেকনাফ উপজেলা হাসপাতাল থেকে। সর্বমোট ৭ টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। টেকনাফ সদর ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য জানান রাতের বেলায় এলাকার মানুষের কাছ থেকে শোনা যায় একটি রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় জনতার সহযোগীতায় ১৫ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুকে জিবীত উদ্ধার করা হয়। এবং ২ শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আর ২০/২৫ জন রোহিঙ্গা।।
বেঁচে যাওয়া কয়েকজন রোহিঙ্গা জানান, মিয়ানমার সীমান্তের ধংখালী থেকে রাতের বেলায় এক নৌকার ৪০/৫০ জন নারী-পুরুষ, শিশু এপারে আসতে ট্রলারে উঠে। প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘন্টা ইন্জিন চালিত একটি ট্রলারে চড়ে রাত ১১ টার দিকে টেকনাফ উপকূলে আসার পর  প মহেশখালীয়া পাড়ার বীচ পয়েন্ট দিয়ে কূলে ভিড়ার সময় বড় ঢেউয়ের কবলে পড়লে ট্রলার ডুবির এই ঘটনা ঘটে।।
এসময় নৌকায় থাকা অনেক রোহিঙ্গা সাঁতরিয়ে কূলে উঠে আসতে সক্ষম হয়। এবং পানি খেয়ে সাথে সাথে দুই শিশুর মৃত্যু হয়। অনেক শিশু এখনো নিখোঁজ রয়েছে বলে জানায় তারা।
পানি খেয়ে কয়েকজন শিশুর অবস্থা বেশী খারাপ হওয়ায়, স্থানীয়রা তাদেরকে টেকনাফ হাসাপাতালে নিয়ে আসে।  কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে (আই,এম,ও) সংস্থার সদস্যদের মাধ্যমে রোহিঙ্গা পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!