নিজস্ব প্রতিবেদক (কক্সবাজার)
সমুদ্র সৈকত থেকে মুর্মূষু অবস্থায় উদ্ধারকৃত চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হওয়া পর্যটক তরুণী তানিয়া আকতার মুনের (২২) মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ বাবার কাছে মুনের মৃতদেহ হস্তান্তর করেন। এর আগে লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয়। অন্যদিকে এই ঘটনায় আটক থাকা স্বপ্নবিলাস হলিডে সুইটস এর দু’কর্মচারীকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানা কর্তৃক বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে।
থানা সুত্রে জানা গেছে, ময়না তদন্তের পর কক্সবাজারে অবস্থান করা বাবার কাছে মুনের মৃতদেহ হস্তান্তর কর হয়। তিনি পুলিশী ছাড়পত্র পাওয়ায় এ্যাম্বুল্যান্স যোগে মৃতদেহ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
এ ঘটনায় আটক স্বপ্নবিলাস হলিডে সুইটস এর ম্যানেজার খ্রিষ্ঠফার হালদার ও মো. ছিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। গত ১৭ অক্টোবর কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বাড়ি পালিয়ে আসা তানিয়া আকতার মুন।
পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদন মতে, তানিয়া আকতার মুনের ডায়বেটিকস একদম নিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছিল। তাই তার শারীরিক অবস্থা একদম ভেঙে পড়ে। যা চিকিৎসা দিয়ে আর ফিরিয়ে আনা যায়নি। ডায়বেটিস ও কোমার কারণে তার মৃত্যু হয়।
মুনের বাবা সুলতান আহমদ জানান, মুন একজন ডায়বেটিকস রোগী এবং মাদকাসক্ত ছিলেন। সেই মানসিক রোগীও ছিলেন। এই কারণে তাকে ঢাকার স্ক্যায়ার হাসপাতাল, ল্যাব এইড, মনোজগত হাসপাতাল ও নিউ মুক্তি সেন্টার নামে মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়েছিল।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, ময়না তদন্তের পর মুনের মৃতদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং আটক দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে।’
রিপোর্ট : আরিফুর রহমান, কক্সবাজার
এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::