নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবির অভিযান অব্যাহত

নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবির অভিযান অব্যাহত 1মোঃ ইউনুছ, নাইক্ষ্যংছড়ি ঃ  নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবির অব্যাহত অভিযানে আবারো সীমান্তের চোরাই পথ দিয়ে অবৈধ ভাবে আনা মিয়ানমারের ও খামারের গৃহপালিত গরুসহ মোট ৯৩টি গরু জব্দ করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড ৩১ ব্যাটালিয়ান (বিজিবি)। ১৮ অক্টোবর মঙ্গলবার গভীর রাতে নাইক্ষংছড়ির সীমান্তবর্তী এলাকা রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ছোট জাংছড়ি, মৌলভীর কাটা, বালুবাসা ও গর্জনিয়া ইউনিয়নের মাঝির কাটা থেকে এসব গরু জব্দ করেছেন।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, ব্যাটালিয়ানের সুবেদার অসিত কুমার নন্দীর ও শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে টহলদল কচ্ছপিয়া ও গর্জনিয়াতে গোপন সংবাদে পৃথক অভিযান চালিয়ে গরু গুলো আটক করেতে সক্ষম হয়।
এ বিষয়ে ৩১ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আনোয়ারুল আযীম গরু আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে সংবাদিকদের বলেন সীমান্তে চোরাকারবারী সহ যে কোন বিষয়ে বিজিবি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বলে জানান। স্থানীয়দের অভিযোগের বৃত্ততে গৃহপালিত গরু জব্দ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এর আগে জনপ্রতিনিধির কথায় ৬৭টি গরু ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এবার গরুর মালিক এসে যদি বলে গৃহপালিত গরু তাহলে বাড়ির কাছে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে। যদি গরু মালিকের বাড়িতে চলে যায় ছেড়ে দেওয়া হবে। অন্যতায় গরুর মালিকের বিরোদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আটক গরুগুলোর মধ্যে কিছু গরু স্থানীয় একটি সিন্ডিকেটে মিয়ানমার থেকে অবৈধ ভাবে ক্রয় করেছে। এছাড়াও গরু আনার সঙ্গে নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামু কচ্ছপিয়া এলাকার অন্তত ৩০জনের একটি সিন্ডিকেট মিয়ানমার থেকে ইয়াবা, গরু অবৈধ ভাবে আনার কাজে জড়িত রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। অপর দিকে গরুর মালিক বদিউল আলম,মাঈনুদ্দিন, মমতাজ আহাম্মদ, দিদারুল আলম ও কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যন নরুল আমিনের দাবী বিজিবির আটককৃত গরুরর মধ্যে তাদের গৃহপালিত ও খামারের গরু বিজিবি নিয়ে এসেছে।

বিজিবির একটি সূত্রে জানা গেছে আটক গরু গুলো যাচাই বাছাই করার জন্য ব্যাটালিয়ান সদরে রাখা হয়েছে। বাছাই শেষে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে প্রভাবশালী একটি মহল বসতবাড়ির পালিত গরুর অজুহাতে ছাড়িয়ে নিতে তৎপর রয়েছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!