টেকনাফ/ অপহৃতের খোঁজে গিয়ে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৩ রোহিঙ্গা নিহত

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন অপহরণকারী রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার দিববাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পেছনের পাহাড়ের নিচে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন টেকনাফের লেদা ক্যাম্পের আজিজুর রহমানের ছেলে হাবিব (২০), উখিয়ার থাইংখালী ক্যাম্প-১৩ এর নুর মোহাম্মদের ছেলে সামশুল আলম (৩৫) ও একই ক্যাম্পের মুক্তার আহমেদের ছেলে নুরুল আলম (২১)।

বন্দুকযুদ্ধে কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। তারা হলেন কনস্টেবল সৈকত বড়ুয়া, আরশেদুল ও সেকান্দর।

পুলিশের দাবি ঘটনাস্থল থেকে তিনটি এলজি বন্দুক, আট রাউন্ড কার্তুজ ও ১১ রাউন্ড খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, কিছুদিন আগে ল্যাদা গ্রাম থেকে এক শিশুকে অপহরণ করা হয়। পরে শিশুটির পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। এ সময় পুলিশের অভিযানের ফলে শিশুটিকে ফেরত দিতে বাধ্য হয় অপহরণকারীরা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাতে সেই অপহরণকারীদের আটক করতে ল্যাদা ক্যাম্পের পেছনের পাহাড়ের নিচে যায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা গুলি চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ তিনজনকে উদ্ধার করা হয়।

ওসি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সাথে তাদের টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওসি।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!