টেকনাফে মানব পাচারকারীরা এখন ইয়াবা পাচারে জড়িত

টেকনাফে মানব পাচারকারীরা এখন ইয়াবা পাচারে জড়িত 1গিয়াস উদ্দিন ভুলু , টেকনাফ : কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না মিয়ানমারের ইয়াবা পাচার। টেকনাফ সীমান্ত এলাকা থেকে শুরু করে। গভীর বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে প্রতিদিন বাংলাদেশের বিভিন্ন উপকুলে প্রবেশ করছে হাজার হাজার বস্তা বন্ধি ইয়াবা।
এতে প্রতিদিন বাড়ছে ইয়াবা পাচারকারীদের সংখ্যা।
ইয়াবা কারবারীরা তাদের নিত্য নতুন কৌশলে তাদের পাচার কাজ এখনো অব্যাহত রেখেছে। মাঝে মাঝে ইয়াবাসহ যে সমস্ত পাচারকারীরা ধরা পড়ছে। তাদের মধ্যে বেশির ভাগ ব্যক্তি হচ্ছে অসহায় রোহিঙ্গা ও হত দরিদ্র পরিবারের সন্তান।।
কারন ইয়াবা কারবারের মুলহোতারা আড়ালে থেকে এই সমস্ত অসহায় মানুষদেরকে দিয়ে তাদের এই অবৈধ পাচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে সীমান্ত প্রহরী টেকনাফ ২ বিজিবি ও প্রসাশনের বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা প্রতিনিয়ত সীমান্ত এলাকা টেকনাফের বিভিন্ন উপকুল থেকে উদ্ধার করছে বস্তা বস্তা ইয়াবা।
তবে বেশির ভাগ ইয়াবা উদ্ধার করার সময় কোন পাচারকারী আটক না হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। অনেকেই বলছে বিজিবি সদস্যরা প্রতিনিয়ত যে ভাবে লক্ষ লক্ষ মালিকবিহীন ইয়াবা উদ্ধার করছে। অথচ এই ইয়াবা পাচারের সাথে জড়িতরা কেন ধরা পড়ছে না।
কেন তারা বার বার থেকে যাচ্ছে প্রসাশনের চোঁখের আড়ালে।
তারা কি বিজিবির লড়াকু সৈনিকদের চেয়ে বেশী শক্তিশালী?
নাকী বিজিবির হাতে থাকা অস্ত্রের চেয়ে বেশি শক্তিশালী অস্ত্র ইয়াবা পাচারকারীদের হাতে আছে? এই প্রশ্ন গুলো এখন সাধারন মানুষের মুখে মুখে।
এদিকে আগের ধারাবাহিকতার সফলতা হিসাবে গতকাল ৬ জানুয়ারী গভীর রাত ২ টার দিকে সাবরাং ইউনিয়নের কাঠাবনিয়া উপকুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭ লক্ষ, ৪০ হাজার মালিকবিহীন ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তবে এই ইয়াবা গুলোর সাথে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি বিজিবি সৈনিকেরা।
আবারো এত বড় ইয়াবা চালানের মুলহোতারা রয়ে গেল ধরাছোঁয়ার বাইরে।
বিজিবি এই ইয়াবা গুলোর মুল্য ধার্য্য করেছে ২২ কোটি,২০ লক্ষ টাকা।
নাম প্রকাশ্যে অনিশ্চুক কয়েকজন বিজিবি সদস্য অভিমত প্রকাশ করে বলেন,
সীমান্ত প্রহরী বিজিবি সৈনিকরা রাত দিন পরিশ্রম করে ইয়াবা পাচার প্রতিরোধে অগ্রনী ভুমিকা পালন করছে। সেই ধারাবাহিকতার সফলতা হিসাবে আমরা প্রতিনিয়ত উদ্ধার করতে সক্ষম হচ্ছি কোটি কোটি টাকার ইয়াবা। তারা আরো বলেন, ইয়াবা পাচারের মুলহোতারা সব সময় আড়ালে থেকে নিত্য-নতুন কৌশলে তাদের ইয়াবা পাচারের মত জগন্য কার্য্যক্রম অব্যাহত রাখে।
স্থানীয়রা যদি ইয়াবা পাচারের মুলহোতাদের আটক ও চিহ্নিত করার জন্য সহযোগীতা করলে, আমরা তাদেরকে আইনের আওয়াতাই খুব সহজেই নিয়ে আসতে সক্ষম হবো।
এদিকে ৬ জানুয়ারী সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল এস, এম,আরিফুল ইসলাম ৭ লক্ষ, ৪০ হাজার মালিকবিহীন ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি আরো বলেন,বিশ্বস্থ গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারি, গভীর বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে  ইয়াবার একটি বড় চালান মিয়ানমার হতে সাবরাং ইউনিয়নের কাঠাবনিয়া এলাকায় প্রবেশ করবে।
উক্ত গোপন সংবাদে তথ্যের ভিত্তিতে আমার নেতৃত্বে ২ ব্যাটালিয়ান একটি বিশেষ টহলদল অভিযান যায়,কিছুক্ষন পর দেখা যায় কয়েকজন লোক বস্তা মাথায় করে সাগর উপকুল দিয়ে আসছে।
এর পর বিজিবি সদস্যরা সামনে অগ্রসর হলে বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা বস্তা গুলো পেলে সু-কৌশলে পালিয়ে যায়।
তার পর ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ইয়াবার বস্তা গুলো উদ্ধার করা হয়। এতে ২২ কোটি, ৪০ লক্ষ টাকা মুল্যমানের ৭ লক্ষ, ৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
ইদানিং ইয়াবা পাচার বেড়েই যাওয়ার কারন দেখিয়ে তিনি বলেন,সাবরাং ইউনিয়নের যে সমস্ত অসাধু ব্যক্তিরা দুই এক বছর আগে মানব পাচারের মত ঘৃন্য কাজে জড়িত ছিল।
মানব পাচার বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এখন তারা সিন্ডিকেট তৈরী করে ইয়াবা পাচারে জড়িত হয়েছে।
তার কারনে সাবরাং ইউনিয়নে উপকুলের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে ইয়াবা পাচার বেড়ে যাচ্ছে।  বিজিবি সৈনিকদেরকে যদি স্থানীয়রা সহযোগিতা করলে এই সমস্ত ইয়াবা পাচারের সাথে জড়িত মুলহোতাদেরকে আইনের আওয়াতাই নিয়ে আসতে  আমরা সক্ষম হব।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!