টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গা নিহত

ইয়াবা-অস্ত্র উদ্ধার অভিযান

কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলার লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গা মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানিয়েছেন, রোববার (৫ মে) সন্ধ্যায় আটক রোহিঙ্গাদের নিয়ে রাত দুইটার দিকে তাদের ডেরায় ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারে গেলে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় তারা মারা যান।ওই বন্দুকযুদ্ধে দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে দুই হাজার ২০০ ইয়াবা, ২ এলজি, ৭ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও ৭ লাখ নগদ টাকা জব্দ করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলার নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাঁচা মিয়ার ছেলে মুহাম্মদ আলম (৩৫)ও জাদিমুড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আলী হোসেনের ছেলে মুহাম্মদ রফিক (২০)।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, ইয়াবা ব্যবসায়ী রোহিঙ্গা আলম ও রফিককে রোববার সন্ধ্যায় আটক করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি মতে রাত ২টার দিকে লেদা ক্যাম্প এলাকায় ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আটকদের সহযোগী ইয়াবা ব্যবসায়ীরা গুলি বর্ষণ করে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় ৪০ রাউন্ড গুলি চালানোর পর ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পিছু হটে। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে রফিক ও আলমের গুলিবিদ্ধ দেহ পাওয়া যায়। এ সময় আহত হন এস আই সাব্বির ও এস আই বাবুল। মৃতদেহগুলো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহগুলো কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় মাদক ও অস্ত্র আইনে পৃথক মামলা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন ওসি।

উল্লেখ্য, ঘটনাস্থল হতে দুই হাজার ২০০ ইয়াবা, ২ দেশীয় এলজি, ৭ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও মাদক বিক্রির ৬ লাখ ৫৬ হাজার ২১০ টাকা পাওয়া যায়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!