টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে ৩ বড় পুকুরের ওপর লোভ সিণ্ডিকেটের

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং বিটের আওতাধীন বড় তিনটি পুকুর পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে। ফলে একদিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব, অন্যদিকে পুকুরগুলো বেদখল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এসব পুকুর নিলামে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।

জানা গেছে, হোয়াইক্যং বিট অফিস সংলগ্ন বিএস ৫৯৭, আরএস ৪৯৪ দাগে রয়েছে ৪০ শতক একটি পুকুর, দৈংগ্যাকাটা মসজিদ সংলগ্ন ৫৯৯ দাগের ৬৪ শতক এবং হুরিখোলা ৬৩২ দাগের প্রায় দেড় একর পুুকুর রয়েছে। এসব পুকুর দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত থাকায় একটি সিন্ডিকেট সেগুলো দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

সংশ্লিষ্ট লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এসব পুকুর বনবিভাগের হলেও নিলামের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। এরই প্রেক্ষিতে জুয়াড়ীখোলা ও লম্বাঘোনা এলাকার কয়েকটি সিন্ডিকেট পুকুরগুলো তাদের জিম্মায় রেখে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ব্যাপারে বনবিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নজর না দেওয়ায় সরকার বঞ্চিত হচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।

স্থানীয় লোকজন জানান, এ তিনটি পুকুর নিলামে দিলে সরকার রাজস্ব পেতো। পাশাপাশি পাহাড়ের পাদদেশে এক একটি পুকুর পর্যটন স্পটেও পরিণত হতো।

কক্সবাজার সহ ব্যবস্থাপনা আঞ্চলিক নেটওয়ার্কের কোষাধ্যক্ষ হারুনর রশিদ সিকদার জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এসব পুকুর বনবিভাগের আওতায় আসলে একদিকে পরিবেশের উন্নতি হবে, অপরদিকে সরকারের রাজস্বভান্ডার সমৃদ্ধ হবে।

এ ব্যাপারে হোয়াইক্যং বিটের কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান জানান, সদ্য যোগদান করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি। এখন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, কিভাবে এসব পুকুরের দেখভাল করা যায়। তিনি আরো বলেন, বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!