চিন্তিত প্রান্তিক লবণ চাষীরা !

মুকুল কান্তি দাশ  ও ইমরান হোসাইন, চকরিয়া-পেকুয়া :

সাবমেরিন ষ্টেশন স্থাপনের জন্য অধিগ্রহণ করা ৪৬৬ একর লবণ চাষের জমিতে চাষ না করতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। গত তিনদিন ধরে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের সর্বত্র মাইকিং করে স্থানীয়দেরকে এ তথ্য জানিয়ে দেয়া হচ্ছে।

%e0%a6%86

সাগর উপকূলবর্তী লবণ উৎপাদনক্ষম ওইসব জমিতে একমাস পর থেকেই শুরু হবে লবণ চাষ। ওই জমিতে চলতি মৌসুমে চাষাবাদ না করার ঘোষনা দেয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছে প্রান্তিক লবণ চাষিদের।

 
জানা গেছে, ইতিমধ্যে প্রান্তিক লবণ চাষিরা জমি মালিকদের কাছ এসব জমি লাগিয়ত নিয়েছেন। এতে প্রায় ৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে চাষিরা। আগামী মৌসুমের জন্য প্রতি একর জমি সাড়ে ৬২ টাকায় লাগিয়ত হয়েছে।

 
স্থানীয় লবণ চাষিরা জানায়, চাষাবাদের উপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর জমি মালিকদের কাছে লাগিয়তের টাকা ফেরত চাইলে গড়িমসি শুরু করেছেন। আর একমাস পরেই শুরু হতে যাওয়া আগামী লবণ মৌসুমের জন্য তাদের জমির লাগিয়ত ও শ্রমিককে দেওয়া অগ্রিম টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।

 
বেশ কয়েকজন জমির মালিক জানান, মগনামায় ৪৬৬ একর লবণ চাষের জমি অধিগ্রহণ করে সরকার। ওই জমি ইতিমধ্যে নৌ-বাহিনীকে দেয়া হয়েছে সাবমেরিন স্থাপনের জন্য। লবণ চাষের জমি সরকার অধিগ্রহণ করলেও ক্ষতিপূরণ দেয়নি। তাই আমরা চলতি মৌসুমে চাষিদের জমি লাগিয়ত দিই। জমি লাগিয়ত দিয়ে লবণ চাষিদের কাছ থেকে নেওয়া অগ্রিম টাকা ফেরত দেওয়ার মত সামর্থ্য অধিকাংশদের নেই।

 

কারণ দুইমাস আগে নেওয়া টাকা এতদিনে যে যার মত ব্যবহার করে ফেলেছে। যদি ক্ষতিপূরণ পায় তাহলে চাষিদের টাকা ফেরত দেয়া হবে বলেও জমির মালিকরা জানান।

 
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মগনামা ইউপি’র চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম বলেন, মানবিক দিক বিবেচনা করে অধিগ্রহণকৃত জমিতে চলতি মৌসুমে লবণ চাষিদের চাষাবাদ করতে দেওয়া প্রয়োজন। নয়তো চাষিরা আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তবে, এই মৌসুমের কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আরো ৬ মাস আগে ক্ষতিপূরণ প্রদান সহ অন্যান্য কার্যক্রম শুরু করা উচিত ছিল।

 
পেকুয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মারুফুর রশিদ খাঁন বলেন, অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। ক্ষতিপূরণের টাকা পরিশোধ করতে আগামী ৩ নভেম্বর মাননীয় জেলা প্রশাসক পেকুয়া আসছেন। ক্ষতিপূরণের চেক জমির মালিকরা পেয়ে গেলে লবণ চাষিরা ক্ষতিগ্রস্থ হবেনা বলে আশা করেন তিনি।

 

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!