চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ৩৫দিনে নিহত-৫১, আহত দু’শতাধিক

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ৩৫দিনে নিহত-৫১, আহত দু’শতাধিক 1মুুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া : লবণ জলে পিচ্ছিল সড়কে দিনদিন বাড়ছে দুর্ঘটনা। মৃত্যুর মিছিল চলছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে। চলতি বছরের ৩৫দিনে ৫১ জন নিহত ও দু’শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। লবণ পরিবহণে প্রশাসনিক নির্দেশনা না মানায় ট্রাক থেকে সড়কে গলে পড়া লবণ পানিতে রাতের কুয়াশা পড়ে সড়ক পিচ্ছিল হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি। সাথে যোগ হয়েছে মাছ পরিবহণে ব্যবহৃত বরফ গলিত পানি।
হাইওয়ে পুলিশ ছাড়াও স্থানীয় লোকজনের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, ১ জানুয়ারী থেকে ৪ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ৩৫ দিনে শিশু-নারীসহ ৫১ জন প্রাণ হারিয়েছেন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে। সবচেয়ে বেশী দুর্ঘটনা ঘটেছে কক্সবাজারের চকরিয়ায়। এই উপজেলার ৩৯ কিলোমিটার মহাসড়কের অংশে ৩৫ দিনে ১৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৪ জন। এছাড়া কক্সবাজারের সদর উপজেলার লিংক রোড, ঈদগাঁও, ইসলামপুর, রামুর বাইপাস, পানির ছড়া, চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতি, আধুনগর, আমিরাবাদ স্টেশন, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, দোহাজারী, পটিয়া, বোয়ালখালী, চরলক্ষ্যা এলাকায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় ২৭ জন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয় দুই শতাধিক যাত্রী ও পথচারী। যাত্রীদের মধ্যে পিকনিক পার্টির ২৭জন ও ১৯ জন রয়েছেন পর্যটক।
চকরিয়ার জাইল্যারাঢালা, ভান্ডারির ডেবা, ইনানী, বরইতলী, বানিয়ারছড়া, ইসলাম নগর, জিদ্দাবাজার, ভাঙ্গারমুখ, ফাঁশিয়াখালী, রিংভং, মালুমঘাট, ডুলাহাজারা ও খুটাখালীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনা হয়। এসব দুর্ঘটনার মধ্যে ৭টি গণপরিবহণের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। ওভারটেকিং ও দ্রুত গাড়ি চালানোর সময় পিচ্ছিল সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মহাসড়কের এ উপজেলায় হারবাং এলাকায় ৫ কিলোমিটারের মধ্যেই ৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় ৯জন। নিহতদের মধ্যে পুলিশের এক সদস্য ও তিন পর্যটক রয়েছে।
ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট নিজাম উদ্দিন জানান, সড়ক দুর্ঘটনা রোধকল্পে দুই বছর পূর্বেই আমি একটি সুপারিশ নামা দাখিল করেছিলাম বিভিন্ন দপ্তরে। সড়কে পড়া লবণ জল ছাড়াও আঁকাবাঁকা সতর্কীকরণ ব্যবস্থা এবং লোকাল গাড়ি গুলোর জন্য আলাদা পার্কিংয়ের ব্যবস্থার কথা উল্লেখ ছিল ওই সুপারিশে। সাথে কক্সবাজারমুখি পর্যটকদের গাড়ি চালককে চটগ্রামেই সড়ক ধারণা দিতে বলা হয়। এসব বাস্তবে রুপ না পাওয়ায় দুর্ঘটনা বেড়েই চলছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম বলেন, লবণ পরিবহণের ক্ষেত্রে লবণ জল সড়কে না পড়তে লবণ ব্যবসায়ী ও পরিবহণ মালিক চালকদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কড়া নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। কিন্ত ওই নির্দেশ এই শীত মৌসুমে অনেকেই মানছেনা বলে শুনেছি। অচিরেই লবণ পরিবহণে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা বৈঠক করা হবে। এরপরও নির্দেশনা না মানলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। #

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!