চকরিয়ায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতায় আমন আবাদে লক্ষমাত্রা অর্জনে শংকা

চকরিয়ায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতায় আমন আবাদে লক্ষমাত্রা অর্জনে শংকা 1মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া: মাতামুহুরী নদীতে একীভূত হওয়া ছড়াখাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় ৪টি ইউনিয়নে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় কক্সবাজারের চকরিয়ায় আমন আবাদে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। খাদ্য উদ্বৃত্ত চকরিয়ায় অন্তত ৫হাজার একর জমি পানির নীচে তলিয়ে থাকায় এ শংকার সৃষ্টি।
সরেজমিন ঘুরে বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, ইতোপূর্বেই কয়েকদফা বীজ তলা প্রস্তুত করেও তিন দফা বন্যায় ওই বীজতলা নষ্ট হয়ে ক্ষতির শিকার হয়েছে কৃষকরা। আর পাহাড়ী ঢল না নামলে ৪টি ইউনিয়ন ছাড়া অপর এলাকায় আমন ধান চাষ করে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে বলে কৃষকদের অভিমত।
চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আতিক উল্লাহ বলেন, চলতি বর্ষায় উপজেলার পৌরসভা ও ১৮টি ইউনিয়নে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ হাজার ২২৮ হেক্টর বা ৪৭ হাজার ৪৯৩ দশমিক ১৬ একর জমিতে। এলক্ষ্যে কৃষকরা বীজতলাও বপন করেছে। কিন্তু কাকারা, লক্ষ্যারচর, বরইতলী ও হারবাং ইউনিয়নের বিশাল ৪টি বিলের দেড় হাজার হেক্টর বা ৩ হাজার ৭০৫ একর জমি জলাবদ্ধতার কারনে চাষাবাদ না হওয়ার সম্ভাবনা। তবে স্থানীয় কৃষকদের মতে জলাবদ্ধতার কারনে ৫ থেকে ৬ হাজার একর জমিতে আমন চাষ হবেনা এবার।
কৃষিবিদ আতিক উল্লাহ আরো বলেন, জলাবদ্ধতা সত্বেও যে পরিমান জমিতে চাষ হবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে তাতেই উদ্বৃত্ত ফলন আশা করা যায়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!