মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া :
এখন আমন ধান তোলার সময়। আর ১০-১৫দিন পর থেকে শুরু হবে আমন ধান কাটা। কিন্তু ধান কাটার আগ মুহুর্ত্ব কারেন্ট পোকাসহ নানা পোকার আক্রমণ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ধানক্ষেত । ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কক্সবাজারের চকরিয়ার কৃষকরা। এমনকি ধানক্ষেতে আক্রমণ করা পোকা দমনে কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী কীটনাশক প্রয়োগ করলেও তা কাজে আসছে না বলে অভিযোগ কৃষকেদের।
উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের স্টেশন এলাকার কৃষক মোহাম্মদ আবচার ও রফিক আহমদ জানান, আমন মৌসুমে রোপিত ধান আগামী ১৫-২০দিন পর কাটার কথা। কিন্তু তার আগেই নানা পোকার আক্রমণে ক্ষেতের ধান ক্ষেতেই পুড়ে বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে।
কৃষক আবচার বলেন, প্রতিবছরের মতো তিনি এবারও কুমাইজ্যারঘোনা, অইল্যারঘোনা, কুমাইজ্যারবিল, হরিণ খাইয়াঘোনা, সিপাহীর বিলসহ আশপাশের অন্তত ২৬ কানি জমি বর্গা নিয়ে হরিজাত এবং ২২ ধান রোপন করেন। কিন্তু এসব ধান পরিপূর্ণ হওয়ার আগেই পোকার আক্রমণে প্রতিকানিতে ১২ হাজার করে অন্তত তিন লক্ষ ১২ হাজার টাকার ক্ষতি হবে। একই কথা বললেন কৃষক রফিক আহমদও।
তিনি বলেন, সর্বশেষ ভারী বর্ষণের পর পোকার আক্রমণ করতে শুরু করে ধানক্ষেতে। এতে তার ৬ কানি জমির রোপিত ধান একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে।
তারা বলেন, প্রথমদিকে মাজরা পোকা আক্রমণ শুরু করে। এরপর লেদা পোকা ছড়িয়ে পড়ে চারায়। এরপর দেখা যায় কারেন্ট পোকা। মাজরা ও লেদা পোকা কীটনাশক দিয়ে দমন করা গেলেও কারেন্ট পোকার উৎপাত বন্ধ করা যাচ্ছে না। এই পোকা পিষ্ট করে মারার চেষ্টা করলেও ফের নড়াচড়া করতে থাকে। এই পোকাই বেশি সর্বনাশ করছে কৃষকের। স্থানীয়ভাবে এই পোকা কারেন্ট পোকা হিসেবে কৃষকের কাছে চিহ্নিত।
হারবাং এর ব্লক সুপারভাইজার ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দিলীপ কুমার দে বলেন, যে পোকাটি ধানক্ষেতে আক্রমণ করছে তা মাছি পোকা। কৃষক যাতে কোন অবস্থাতেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকেই নজর রয়েছে আমাদের। আশা করছি পোকার আক্রমণ থেকে ধানক্ষেত রক্ষা পাবে।
এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::