মোঃ ইউনুছ, নাইক্ষ্যংছড়ি : রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী জুমছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে প্রতিক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দুই প্যানেলের ৮ জন প্রার্থী গত ৬ ডিসেম্বর মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন।
মনোনয়ন পত্র যাচাই ও প্রত্যাহার শেষে (১১ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় স্কুল অফিসে প্রার্থীদের মাঝে প্রতিক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এতে শাহ আলম পেয়েছন আনারস, নুরুল আমিন দোয়াত কলম, নুর আয়েশা ছাতা, হাসিনা আক্তার পেয়েছেন বই প্রতিক। অপর প্যানেলে মোঃ ইউনুছ মোরগ, মোছন আলী ফুটবল, রওশন আক্তার কলসি, বেগম খালেদা হোসাইন দেওয়াল ঘড়ি প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রতিক পাওয়ার পর হইতে প্রার্থীরা কোমর বেঁধে নেমেছে ভোটের মাঠে প্রার্থীরা। এতে অভিযোগ উঠেছে একই স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গত কাল প্রতিক বরাদ্দ দেওয়ার পর হইতে অভিযুক্ত শিক্ষক আমির হোসাইন স্ত্রীর জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেওয়াল ঘড়ি মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য অভিভাবকদের প্রভাবিত করছেন বলে জানান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শাহ আলম ও স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে রামু উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার সেলিমগীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন অভিযোগ পেলে উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ ফয়জুল্লাহ ও নির্বাচন কালীন দায়িত্ব থাকা সহকারী রিটার্নিং অফিসার বলেন নিয়মিত স্কুলে না আসলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পারবেন তিনি, এর পরও তিনি এ বিষয়ে ঐ শিক্ষককে সতর্ক করে দেওয়া হবে বলে জানান। মৌলানা নজির আহম্মদ ও কবির আহম্মদ সহ অনকে জানান ১৯৩৭ সালে জুমছড়ি এলাকার কৃতি সন্তান চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক আবুল কাশেম মোঃ ফজলুল হকের দাদা মরহুম আবদু হাদী মুন্সি ঐ সময় এলাকার ছেলে মেয়েদের শিক্ষার কথা চিন্তা করে জমি দিয়ে স্কুলটি নিজে প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমান দেশে শিক্ষার যখন মান উন্নয়ন হয়েছে সে দিকে বিবেচনা করে মরহুম আবদু হাদী মুন্সির দুই নাতি কলেজ পরিদর্শক আবুল কাশেম ও আজিজ মওলা ও তাদের নিজ জমি ও টাকা দিয়ে জুমছড়িকে আলোকিত করতে তাদের পিতা মরহুম বদিউল আলম মেম্বারের নামে বদিউল আলম স্মৃতি বিদ্যাপিঠ নামের একটি মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। তাই এলাকাবাসীর আগামী ২৪ ডিসেম্বর জুমছড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্বাচনে তাদের পরিবারের পক্ষে বেশির ভাগ মানুষ সমর্থন দিবেন।