ইমরান হোসাইন, পেকুয়া : কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের কাছারীমোড়া প্রিমিয়ার লিগের (কেপিএল) দশম আসরের প্রথম রাউন্ডের ষষ্ঠ খেলায় শিলখালীর সৈয়দ আলমের দ্যা বুল্সকে ছয় উইকেটে হারিয়ে উজানটিয়ার সোনালী সুপার সিক্সার্স জয়ী হয়েছে।
শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় কেপিএল মাঠে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় দ্যা বুল্স। বুল্সের ওপেনার হিসেবে মাঠে নামেন দলের হার্টহিটার ব্যাটসম্যান ইমরান ও সোহেল। মাত্র এক রান নিয়েই সুপার সিক্সার্সের আইকন তারেকের বলে আউট হয়ে যান ইমরান। মাঠে নামেন দলের আরেক নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান ইব্রাহিম। ইব্রাহিম একের পর এক চার-ছক্কা হাকিয়ে দলীয় স্কোর অর্ধশত পার করে দেন। কিন্তু আফসোস থেকেই গেছে ইব্রাহিমের। ব্যক্তিগত ৪৭ রানে সুজনের বলে ফাহিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ইব্রাহিম। থমকে দাঁড়ায় দলীয় স্কোর। মাঠে নেমেই আজিজ তিনটি চার ও একটি ছক্কা হাকিয়ে দলীয় রান ৮০ পার করিয়ে দেন। সুজনের বলে আউট হয়ে ফিরে যান সোহেল। এরপর জুবাইর, ওসমান ও ছোটন মাঠে নেমে দলীয় স্কোর ১১০ রান পার হতেই ম্যাচের নির্ধারিত ১২ ওভার শেষ হয়ে যায়। শেষ বলে ওসমান রান আউটের ফাঁদে পড়ে। তখন স্কোর দাঁড়ায় ছয় উইকেটে ১১০। সোনালী সুপার সিক্সার্সের সুজন ও তারেক দুইটি করে উইকেট লাভ করেন। শাহাদাত সিকদার শিকার করেন এক উইকেট।
১১১ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সোনালী সুপার সিক্সার্সের আইকন তারেক ও হার্টহিটার ব্যাটসম্যান তৌহিদ ওপেনার হিসেবে মাঠে নামেন। শুণ্য উইকেটে সোনালী সুপার সিক্সার্স ৩৮ রান নিয়ে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করে ফেলে। কিন্তু দলের আইকন তারেক দ্যা বুলসের শাহরুখ হাসানের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান। মাঠে নামেন সুপার সিক্সার্সের বিদেশী খেলোয়াড় সুজন। মাঠে নেমেই
একটি চার হাকিয়ে জানান দেন সুপার সিক্সর্স জয়ের জন্য প্রস্তুত। সুজন ও তৌহিদ একজন অন্যজনের বোঝাপড়ায় ভালোই আগাচ্ছিল। কিন্তু সুজন দ্যা বুলসের বোলার ইব্রাহিমের বলে বোল্ড হলে ছন্দপতন ঘটে ব্যাটিংয়ে। ততক্ষনে দলীয়
স্কোর দাঁড়ায় ৯৩/২। মাঠে নামেন ব্যাটসম্যান রেজাউল। বিধ্বংসী বোলার ইব্রাহিমের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন তৌহিদ। ততক্ষনে তিনি ব্যক্তিগত ৪৭ রান সংগ্রহ করেন। দলের আরেক নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান আবদুর রহমান জয় মাঠে নেমেও শূণ্যরানে আউট হয়ে গেলে মাঠে নামেন মোজাহিদ। মোজাহিদ একটি চার
মেরে দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেন। রেজাউল ও মোজাহিদ অপরাজিত থেকে
১১১ রানের লক্ষ্যমাত্রা পার করে দেন। বাঁধভাঙা উল্লাসে জয় উদযাপন করে সোনালী সুপার সিক্সার্সের সমর্থকেরা।
ক্রিকেট বিশ্লেষকেরা বলছেন, দ্যা বুলস জয়ের দ্বারপ্রান্তে গিয়েও সোনালী সুপার সিক্সার্সের কাছে আত্মসর্মপন করে। অবস্থা এমন যে তীরে এসে তরী ডুবাল দ্যা বুল্স।
খেলায় ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন সোনালী সুপার সিক্সার্সের তৌহিদ। তিনি ব্যক্তিগত ৪৭ রান সংগ্রহ করেন। ধারাভাষ্যকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বরাবরে মতোই বেলাল উদ্দিন বিল্লাল ও এফ এম সুমন।
এরপর অনুষ্ঠিত হয় পুরস্কার বিতরণ। কেপিএল পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাহেদুল
ইসলাম শাহেদের সভাপতিত্বে ও কেপিএল পরিচালনা কমিটির মহাসচিব তানজিমুল ইসলাম জিসাদের পরিচালনায় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে পুরস্কার তুলে দেন শিলখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শেখ ফরিদুল আলম, পূবালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার আলমনূর, কেপিএলের প্রধান উপদেষ্টা এস এম হানিফ ও উপদেষ্টা মাস্টার এহেছানুল হক।
৭ জানুয়ারি রোববার বিকেল তিনটায় টূর্ণামেন্টের সপ্তম খেলা অনুষ্ঠিত হবে। এতে মুখোমুখি হবে পেকুয়া সদরের সাংবাদিক দিদারুল করিমের পল্লীবন্ধু ক্রিকেট কিংস ও শিলখালীর মিজানুর রহমানের ড্রাগন্স ক্রিকেট।