কক্সবাজারে পাঁচ ট্রাক ভারতীয় লবণ জব্দ

কক্সবাজার উপজেলার ইসলামপুর থেকে পাঁচ ট্রাক ভারতীয় লবণ জব্দ করেছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। জব্দকৃত লবণের পরিমাণ আনুমানিক ৬০ টন হবে বলে জানান লবণ মিল মালিক সমিতির একটি সূত্র।

শনিবার (২১ জুলাই) বিকাল চারটার দিকে শিল্প এলাকার ইসলামপুর লবণ মিল গ্রামীণ সল্ট ওরফে (কয়লার মিল) এর সামনে থেকে ভারতীয় লবণ বোঝাই এই পাঁচ ট্রাককে জব্দ করা হয়।

কক্সবাজারের ইসলামপুর লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি শামশুল আলম জানান, ‘বাংলাদেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ লবণ মজুত থাকার পরও স্থানীয় গ্রামীণ সল্টের স্বত্বাধিকারী তৈয়বুর রহমান চোরাই পথে আসা ভারতীয় লবণ এনে মজুত করে রাখছিল। এমন সংবাদ পেয়ে মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ীরা ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় উপস্থিত জনগণের সামনে লবণের ট্রাকগলো আটকানো হয়। পরে কক্সবাজার সদর থানাধীন ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশকে খবর দেয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লবণ বোঝাই পাঁচ ট্রাক জব্দ করে।

জব্দকৃত পাঁচ ট্রাক থেকে দুটি ট্রাক পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। অপর তিন ট্রাকের লবণ মিল মালিক সমিতির হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে পুলিশের একটি সূত্র জানায়।

ব্যবসায়ীদের মতে জব্দকৃত লবণের পরিমাণ আনুমানিক ৬০ টন হবে। মিল মালিক সমিতির সভাপতি শামশুল আলম আরো জানান, লবণগুলো কম দামে চট্টগ্রাম থেকে সংগ্রহ করে এনে বাজারজাত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছিল ওই মিল মালিক তৈয়ব। যে লবণ বাজারজাত করলে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও চাষীরা অধিক লোকসানে পড়তো। তাছাড়া লবণগুলো সোডিয়াম সালফেট, যা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর।

সোনালী সল্টের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ শরীফ কোম্পানি জানান, দেশীয় লবণের প্রতি অশ্রদ্ধা জানিয়ে বিদেশী লবণ আমদানিকারকদের বয়কট করতে হবে। তারা দেশের শত্রু, ব্যবসায়ীদের দুশমন। এ মৌসুমে কক্সবাজার সদরসহ দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রচুর লবণ থাকা সত্বেও কেন বিদেশি লবণ আমদানি করে তা বোধগম্য নয়।

ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান চৌধুরী বলেন, দেশে পর্যাপ্ত লবণ মজুদ থাকার পরও এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী বিদেশি লবণ আমদানি করে দেশের লবণ শিল্পকে ধ্বংসের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!