কক্সবাজর ও টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই মানবপাচারকারী রোহিঙ্গা ও এক ইয়াবা ব্যবাসায়ী নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৪ মে) ভোর রাত চারটার দিকে শামলাপুর মেরিনড্রাইভ ও কক্সবাজার কাটাপাহাড় এলাকায় পৃথক বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে। এ সময় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
নিহত রোহিঙ্গারা হলেন, শামলাপুর ২৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আব্দুর রহিমের ছেলে আজিম উল্লাহ (২০) ও উখিয়ার জামতলী ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা কাম্পের মৃত রহিম আলীর ছেলে আব্দুস সালাম (৫২)। প্রাথমিকভাবে নিহত দুজন মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য বলে জানা গেছে। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন এএসআই জহিরুল ইসলাম, কনস্টেবল মোবারক হোসেন, খাইরুল ও মানিক মিয়া।
টেকনাফ থানার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কতিপয় দালাল রোহিঙ্গাদের পাচারের উদ্দেশ্যে জড়ো করছে। এসময় টেকনাফ থানা পুলিশের একটি দল তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পাচারকারীরা পুলিশের দিকে লক্ষ্য করে গুলি করলে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি করে। কিছুক্ষণ পরে আক্রমণকারীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুইটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলাবারুদসহ উদ্ধার করা হয়। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে যাচাইবাছাই করে দেখা যায় তারা রোহিঙ্গা এবং দীর্ঘদিন ধরে মানবপাচারের সাথে জড়িত রয়েছে বলেও ওসি জানান।
এদিকে কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলি এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ইয়াবা ব্যবাসায়ী ছৈয়দুল মোস্তফা প্রকাশ ‘ভুলু’র গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কক্সবাজার শহরের কাটাপাহাড় এলাকা থেকে আলোচিত ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ সময় ৪০০ পিস ইয়াবা, একটি এলজি, দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও ছয়টি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। নিহতের মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
সন্ত্রাসী ভুলু কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকার জহির হাজীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্রসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন খন্দকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এস.আর