এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র কুতুবদিয়া স্টাইল…!

এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র কুতুবদিয়া স্টাইল...! 1বিশেষ প্রতিনিধি : মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রামের অধীনে সদ্য সমাপ্ত হওয়া এসএসসি পরীক্ষা (কেন্দ্র -০১ কেন্দ্র কোড ২৩৫) কুতুবদিয়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজন প্রীতির মধ্য দিয়ে পরীক্ষা শেষ করার অভিযোগ উঠেছে। সরকারী নিয়মানুযায়ী পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে শুধু মাত্র সরকারী গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিবে ধূরুং হাই স্কুল কেন্দ্রে আর ধূরুং হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিবে গার্লস স্কুল কেন্দ্রে। অন্য স্কুলগুলো অঞ্চল ভিত্তিক কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেবে। সরকারের ওই নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদশর্ন করে একজন সহকারী শিক্ষকের মন গড়ায় হল সচিব, কক্ষ পরিদর্শক নিয়োগসহ পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত কেন্দ্র ফি গ্রহণ এবং কেন্দ্রের আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জোরালো অভিযোগ তুলেছেন স্বয়ং পরীক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত কক্ষ পরিদর্শকেরা। এছাড়া পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে অবাঞ্চিতভাবে অনর্থক পরীক্ষার্থীদের হুমকি-ধমকিসহ নানা অশালীন আচরন এমন কি পরিদর্শকদের নাজেহাল করার ও অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে পকাশ, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় কুতুবদিয়া কেন্দ্র এক’র স্টাইল নিয়ে পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও কক্ষ পরিদর্শকসহ কুতুবদিয়ার মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল-মাদ্রাসার সর্বস্তরের শিক্ষক-শিক্ষিকাগনের মাঝে তুমুল সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। কুতুবদিয়া পরীক্ষা কেন্দ্র এক’র কেন্দ্র সচিব কুতুবদিয়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সজল কান্তি দাশ তার স্কুলের অন্য একজন সহকারী শিক্ষককে পরীক্ষা কেন্দ্র একের অতিরিক্ত ভেন্যু কুতবদিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব বানিয়ে পরীক্ষা শেষ করার কাহিনীতে এখন এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য যে, সহকারী শিক্ষক সজল ও মাসুদ দু’জনেই সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়ে নিয়মিত স্ব-স্ব স্কুলের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদেরকে পরীক্ষা কেন্দ্রে অসদুপায় অবলম্বনের সুযোগ সৃষ্টির লোভ দেখিয়ে প্রাইভেট টিউশনিতে নিমজ্জিত থেকে পরীক্ষা পাশের এ আকাম-কুকাম বর্তমানে টক অব দ্য কুতুবদিয়ায় রূপ নিয়েছে।

এদিকে কেন্দ্র সচিব ২ ফেব্রুয়ারী পরীক্ষা শুরুর দিন পরিদর্শকের দায়িত্ব বন্টন ও নামের তালিকা সরবরাহ না করে এতে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বজন প্রীতির আশ্রয় নিয়ে ৭ ফেব্রুয়ারী পরিদর্শকগনের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কক্ষ পরিদর্শক। তাছাড়া বিজ্ঞান বিভাগের ৪ টি বিষয়সহ ইংরেজী ও গণিত বিষয়ের পরীক্ষার দিন বিএসসি, ইংরেজী ও সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক দ্বারা পরীক্ষা পরিচালনা করে মোটা অংকের টাকা ইনকাম করার ও অভিযোগ করেছে সুবিধা বঞ্চিত নিরীহ অভিভাবকরা। অথচ সরকারী নিয়মানুযায়ী কুতুবদিয়াতে সকল পাবলিক পরীক্ষায় স্কুলের শিক্ষক মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবে আর মাদ্রাসা শিক্ষক স্কুল পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করার কথা। বিশেষ করে বিজ্ঞান বিভাগের ৪ টি বিষয়সহ অংক ও ইংরেজী পরীক্ষায় মাদ্রাসার মৌলানা শিক্ষকরাই দায়িত্ব পলনের কথা থাকলে ও এখানকার চিত্র ছিল সম্পূর্ন উল্টো পরিদর্শকের দায়িত্ব বন্টন ও নামের তালিকায় তা স্পষ্ট প্রমান করে।
এ ব্যাপারে কেন্দ্র পরিদর্শক ও অভিভাবক মিলে অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক (শিক্ষা) কক্সবাজারকে গত ১০ মার্চ লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!