এখনো সন্ধান মিলেনি কালা মিয়ার

এখনো সন্ধান মিলেনি কালা মিয়ার 1কুতুবদিয়া প্রতিনিধি : গভীর সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে কুতুবদিয়া উপজেলার আলীআকবর ডেইল ইউনিয়নের কিরন পাড়া গ্রামের মোঃ কালা মিয়া (২৬) নামের এক মাল্লা দীর্ঘ ১২ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে বলে জানাগেছে। গত ১০জানুয়ারী “এফ.বি আল্লাহরদান” নামক মাছ ধরার ট্রলারটি বড়ঘোপ স্টীমারঘাট হতে নিখোঁজ কালা মিয়াসহ ৮জন মাঝি মাল্লা নিয়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যায়। গভীর সাগরে মাছ ধরার সময় নিখোঁজের রহস্য এখনো অজানাই রয়েছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কালা মিয়ার পরিবার বোটমালিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন কুলকিনারা পাচ্ছেনা। দিন যতই ঘনিয়ে যাচ্ছে নিখোঁজের পরিবার ততই হতাশায় ভেঙ্গে পড়ছে।

এদিকে দীর্ঘ ১২ দিন ধরে নিখোঁজ কালা মিয়ার মা রোকেয়া বেগম (৪৫) পুত্রশোকে পাথর হয়ে গেছে। নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিয়ে শুধু সাগরের দিকে তাকিয়ে আছে কখন তার ছেলে ফিরে আসবে সে প্রতীক্ষায়। এক সন্তানের জনক নিখোঁজ কালা মিয়ার স্ত্রী,সন্তান ও আত্মীয়দের আহাজারীতে ভারি হয়ে উঠেছে এলাকার পরিবেশ।

জানা যায়, উপজেলার বড়ঘোপ রোমাই পাড়া গ্রামের বাদশা কোম্পানির মালিকানাধীন “এফ.বি আল্লাহরদান” নামক মাছ ধরার ট্রলারটি বড়ঘোপ স্টীমারঘাট হতে গত ১০জানুয়ারী ৮জন মাঝি-মাল্লা নিয়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যায়। কিন্তু মাছধরে কুতুবদিয়া উপকূলে ফেরার কথা থাকলেও রহস্যজনক কারণে কালা মিয়া ছাড়া বাকি ৭জন নিয়ে ১৪ জানুয়ারী কক্সবাজার উপকূলে ফিরে আসে। এসময় একই বহরে (একসাথে) থাকা কুতুবদিয়ার অন্যান্য মাছ ধরার ট্রলারের মাঝি-মাল্লাদের বরাত দিয়ে কালা মিয়া নিখোঁজের ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়। খবর পেয়ে তার পিতা আবুল হোছাইন ওই ট্রলারের মাঝি শাহজাহানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। অবশেষে বোট মালিকের সাথে যোগাযোগ করে নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করে।

এ বিষয়ে নিখোঁজ কালা মিয়ার মা রোকেয়া বেগম (৪৫) বাদী হয়ে গত ১৫ জানুয়ারী কুতুবদিয়া থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে কথা হলে বোটমালিক বাদশা কোম্পানি বলেন, মাছ ধরার সময় কালা মিয়া বোট থেকে সাগরে পড়ে গেলে অনেক চেষ্টা করেও তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এবিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে কালা মিয়ার পরিবারের সাথে আপোষ-মীমাংসার প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানান।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!