মিললো ক্ষতিকর উপাদানের ঘি, চকচকে করতে পঁচা খেজুরে তেল!

হাটহাজারীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

হাটহাজারীতে আবারো এক হাজার লিটার ভেজাল বাঘা বাড়ির ঘি ও সরিষার তেলে চকচকে করা ২৫ কেজি পঁচা খেজুর জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। ভেজাল প্রতিরোধ করতে পৌরসভার কাঁচাবাজার এলাকায় মুদি দোকান ও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন ও হাটহাজারী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সম্রাট খীসা।

ভেজাল ঘি বিষয়ে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বলেন, ভেজাল ঘিয়ের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করছি ছয় মাস ধরে। এ পর্যন্ত আটটি ভেজাল ঘি তৈরির কারখানা সিলগালা করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার ভেজাল ঘি জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এরপরেও ভেজাল ঘি বিক্রি বন্ধ হচ্ছে না। মানুষের সচেতনতার অভাবেই এসব ভেজাল বিক্রেতারা তাদের কাজ অব্যাহত রাখতে পারছেন।

মিললো ক্ষতিকর উপাদানের ঘি, চকচকে করতে পঁচা খেজুরে তেল! 1

মিললো ক্ষতিকর উপাদানের ঘি, চকচকে করতে পঁচা খেজুরে তেল! 2

তিনি আরো বলেন, মঙ্গলবার (৭ মে) প্রায় আড়াই ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে পৌরসভার কাঁচাবাজার এলাকা থেকে ফের এক হাজার লিটার ভেজাল বাঘা বাড়ির ঘি জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ভেজাল ঘি বিক্রির দায়ে এস কে স্টোরকে পাঁচ হাজার, গাউছিয়া স্টোরকে এক হাজার এবং নন্না মিয়া স্টোরকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জব্দ করা ঘি পৌরসভার ময়লা ডাম্পিং গ্রাউন্ডে এনে আগুনে পোড়ানো হয়।

মো. রুহুল আমিন জানান, ‘ভেজাল ঘি বিক্রি না করতে এর আগেও কয়েকবার মুদি দোকানিদের সতর্ক করা হয়েছিলো। কিন্তু বেশি লাভের আশায় নানা ক্ষতিকর উপাদান দিয়ে তৈরি ভেজাল ঘি, বাঘাবাড়ি ও বিভিন্ন ব্রান্ডের মোড়কে বিক্রি অব্যাহত রাখছে তারা।’

পঁচা খেজুরে তেল!

হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পচা খেজুরে সরিষার তেল মিশিয়ে ঝকঝকে করে প্যাকেজিং করার সময় দুই বিক্রেতাকে হাতেনাতে ধরেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।মঙ্গলবার (০৭ মে) দুপুরে হাটহাজারী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সম্রাট খীসা এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন।

সম্রাট খীসা বলেন, রমজানে বাজার মনিটরিং-এর নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় পঁচা খেজুরে সরিষার তেল মিশিয়ে ঝকঝকে করে প্যাকেজিং করার সময় দুই বিক্রেতাকে হাতেনাতে ধরা হয়।

তিনি বলেন, অভিযানে প্রায় ২৫ কেজি পচা খেজুর জব্দ করে নষ্ট করা হয়। পাশাপাশি দুই খেজুর বিক্রেতাকে আর্থিক জরিমানাও করা হয়। এছাড়াও পণ্যের মূল্য তালিকা না রাখা এবং ফুটপাত দখল করে ফল বিক্রি করায় ৪ বিক্রেতাকে জরিমানা করা হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!