বৃষ্টিতে গণপরিবহন সংকট, চট্টগ্রামে তিনগুণ ভাড়া আদায়!

চট্টগ্রামে রোববার দুপুর থেকে সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৩৬ দশমিক দুই মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে। ভারি বর্ষণে চট্টগ্রাম মহানগরের অধিকাংশ এলাকা হাটু সমান পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে যান চলাচল সীমিত হয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে নগরবাসী। বেশকিছু সড়কে গণপরিবহন কম থাকায় দুই থেকে তিনগুণ ভাড়া বাড়িয়ে দেয় চালকরা। বৃষ্টি আর গণপরিবহন সংকটের কারণে নগরীর বিভিন্ন মোড়ে দেখা গেছে সাধারণ যাত্রীদের ভিড়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অক্সিজেন, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেট, প্রবর্তক, আগ্রাবাদ, নীমতলা, সিইপিজেট, আকমল আলী, কাটগড়, দেওয়ানহাট, বহাদ্দার হাট এলাকায় বৃষ্টির পানির কারণে যান চলাচল সীমিত হয়ে পড়েছে। বেশকিছু বাস, ট্রাক, কার, সিএনজি ও মোরটসাইকেল রাস্তায় অচল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে এসব স্থানের মোড়গুলোতে দেখা যায় গণপরিবহনের অপেক্ষায় শত শত মানুষ। অনেকে বৃষ্টিতে ভিজে হেটে (হাটু পানি) গন্তব্যে রওনা দিচ্ছে। সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়তে দেখা গেছে মুমূর্ষু রোগী বহনকারী এ্যাম্বুলেন্সকে। অক্সিজেন, মুরাদপুর মোড়ে কয়েকটি এ্যাম্বুলেন্স রোগীসহ যানজটে আটকে থাকতে দেখা যায়। অনেকে গণপরিবহনের সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে তিনগুণ ভাড়া দিয়ে অফিসে গেছেন। এ সুযোগে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, মিনিবাসগুলো তিন থেকে চারগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

এ ব্যাপারে একাধিক রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, মিনিবাস চালকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃষ্টিতে কষ্ট করে গাড়ি চালাচ্ছে, তাই অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন।

মুরাদপুর মোড়ে কথা হয় গাড়ির জন্য অপেক্ষারত মো. আমিন ও ফিরোজের সঙ্গে। তারা বলেন, বৃষ্টিতে গাড়ি পাচ্ছি না। বৃষ্টিতে ভিজে এক ঘণ্টা ধরে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে আছি।

চকবাজার মোড়ে খালেদ জামান ও মো. রফিক নামের দুই পথচারীর সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, বৃষ্টি, জলজট, সঙ্গে গণপরিবহন সংকটের সঙ্গে যোগ হয়েছে অতিরিক্ত ভাড়ার চাপও। বুঝতেছি না এসব থেকে কখন মুক্তি পাবো।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!