বিভাগীয় সমাবেশ/ অনুমতির অপেক্ষায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি

চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে বিভাগীয় সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এতে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘নগরীর লালদিঘীর পাড়ের জেলা পরিষদ চত্বর অথবা কাজির দেউড়ির নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহাদাত। লালদিঘীর মাঠে বন বিভাগের বৃক্ষমেলা চলছে। সেজন্য সেখানে আমরা সমাবেশ করতে পারছি না। বাকি যে দুটি ভেন্যু আমরা নির্ধারণ করেছি, সেগুলো আমাদের লোক সমাগমের জন্য পর্যাপ্ত নয়। তারপরও আমরা সেগুলো নির্ধারণ করেছি এবং আশা করছি পুলিশ আমাদের অনুমতি দেবে।’

শনিবার (২০ জুলাই) বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে চট্টগ্রাম বিএনপির উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, হারুনুর রশিদ ভিপি, কেন্দ্রীয় সদস্য মশিউর রহমান বিপ্লব, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, উত্তর জেলা বিএনপির সাবেকসহ-সভাপতি এম এ হালিম, চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, ইকবাল চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আহমেদুল আলম রাসেল, জাহাঙ্গির আলম দুলাল, মঞ্জুর আলম মঞ্জু, আনোয়ার হোসেন লিপু, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পদক কামরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন, নগর মহিলা দল সভাপতি কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, সহ-দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী।

সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘বর্তমান সরকার প্রতিহিংসা নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা করছে। আমরা আমাদের নেত্রীর মুক্তির আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চালিয়ে যাবো। আমরা আশা করছি প্রশাসন আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ সফল করতে সহযোগিতা করবে।’

সংবাদ সম্মেলনে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ‘আমরা ৪ জুলাই সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদন জমা দিয়েছি। কয়েকদিন আগে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার আমেনা বেগমের সঙ্গে দেখা করেছি। কিন্তু তারা এখনো আমাদের সমাবেশের অনুমতির বিষয়টি জানায়নি। আশা করছি, বৃহস্পতিবারের মধ্যে পুলিশ আমাদের অনুমতি দেবে।’

পুলিশের বাধায় সমাবেশের প্রচার চালাতে না পারার অভিযোগও করেছেন বিএনপি নেতা বক্কর। যদি পুলিশ সমাবেশের অনুমতি না দেয়, এমন আশঙ্কার জবাবে শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) বরিশালে সমাবেশ হচ্ছে। যেহেতু বরিশালে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ, আশা করি আমরাও পাব। অনুমতি পেলে অতীতের মতো সুশৃঙ্খলভাবে সমাবেশ করা হবে বলেও জানিয়েছেন শাহাদাত।

তিনি সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। তার বিপুল জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে সরকার তাকে গায়ের জোরে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। জামিন পাওয়া একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকার। অথচ সরকার তার জামিন প্রক্রিয়ায় বাধাগ্রস্ত করে তাকে জামিন পাবার অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। সাজানো মিথ্যা মামলার রায়ের পর থেকে বিএনপি সর্বাত্মক শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার বিএনপির এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিও যথাযথভাবে পালন করতে দিচ্ছে না। ঢাকাসহ সারাদেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হলেও চট্টগ্রামে বিএনপিকে দলীয় কার্যালয়ের বাইরে সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।

এইচটি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!