বিপণীবিতান থেকে পোশাক চুরি: আটক ১

দশ বছর ধরে ক্রেতা সেজে চুরি করেন তিনি

নগরীর বিভিন্ন মার্কেটে সক্রিয় হয়েছে চোর চক্র। শুক্রবার বিকেলে একজনকে আটক করেছে বাকলিয়া থানার পুলিশ। আটককৃতের নাম শানু বেগম(৪০)। তিনি পটিয়ার সেনপাড়া এলাকার বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাকলিয়া থানাধীন তুলাতলী বালুর মাঠস্থ সিরাজ বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলা থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার বাসা থেকে নতুন কাপড়-চোপড় উদ্ধার করা হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, তার চক্রের সহযোগী অন্যান্য সদস্যদের নিয়া চট্টগ্রাম শহরের রিয়াজ উদ্দিন বাজার, টেরিবাজার, নিউমার্কেট, তামাকুন্ডি লেইন এবং সানমারসহ যেসব মার্কেটের দোকানের মধ্যে ভিড় আছে সেখানে যাই। প্রথমে দেখি বিক্রেতার সংখ্যা কয়জন কিংবা ক্রেতার প্রতি তাদের মনোযোগ কেমন? অর্থাৎ তাদের মানসিকতা লক্ষ করি। এরপর আমরা তিনজন দোকানে প্রবেশ করি। আমার সাথে থাকা দুজন পুরুষ সদস্য জিনিস পছন্দ করতে থাকে। তিন থেকে চারটা একসাথে পছন্দ করার পর জিনিসগুলো সামনে এনে রাখি। পুরুষ সদস্যদের একজন বিক্রেতাকে বলে অন্য কিছু দেখাতে বলে তার মনোযোগ অন্য দিকে ঘোরানোর চেষ্টা করেন। সুযোগ পেলেই আমি সামনে রাখা জিনিসসমূহ থেকে কিছু আমার বোরকার মধ্যে ঢুকিয়ে রাখি। চুরির কাজ শেষ হলে সবাই একসাথে বলি, ‘ এই দোকানে পছন্দ হচ্ছে না চলো অন্য দোকানে যাই।’

বিক্রেতাও ভিড়ের চাপে অথবা অন্য জিনিসের মধ্যে থেকে দুয়েকটি কাপড় হারানো গেলে বুঝতে পারে না।

বাকলিয়া থানার ওসি নিজাম উদ্দিন জানান, আটককৃতসহ তার দলে আরও ৭/৮ জন সদস্য একযোগে চক্রাকারে শহরের বিভিন্ন মার্কেটে এসব করে বলে জানা গেছে। তারা দীর্ঘ দশ বছর যাবৎ চোরচক্রের অন্যান্য সক্রিয় সদস্যরা মিলে অভিনব কৌশলে চুরি করে আসছে।

জব্দকৃত চুরির মালামালগুলো হচ্ছে, জিন্সের প্যান্ট দশটি, বিভিন্ন রংয়ের শার্ট আটটি, প্রিন্টের শাড়ি পাঁচটি, প্রিন্টের থ্রি পিচ এগারোটি, শীতের ফুল হাতা গেঞ্জি দুটি, বিভিন্ন রংয়ের টি শার্ট চারটি।

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!