ফটিকছড়িতে প্রবাসীর স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা!

২২ দিনেও উদঘাটন হয়নি মূল রহস্য

ফটিকছড়িতে প্রবাসীর স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার ২২ দিন পার হলেও ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। উল্টো অভিযুক্তদের হুমকিতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহত গৃহবধূর পরিবার। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে শূন্য পড়ে আছে প্রবাসী রূপন কান্তি দের বাড়িটি। হুমকির মুখে শিশু সন্তান ও মা-বাবাকে নিয়ে নিজের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন ভিকটিমের পরিবার।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করলেও মূল হোতারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে। মামলা তুলে নিতে তারা প্রতিনিয়ত নানাভাবে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। নিহত গৃহবধূর স্বামী রূপন অভিযোগ করে বলেন,‘মামলা তুলে নিতে এলাকার মোড়ল কেশব ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শ্যামলসহ আরো অনেকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে।’

এ ঘটনায় ভূজপুর থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন রূপন কান্তি।

এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে গৃহবধূ মামনি বালা হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভূজপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) দিদারুল আলমকে ফোন করলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে লাইন কেটে দেন।

অপরদিকে, সেদিনের ঘটনায় নিহত মামনি বালার শ্বশুর মিলন কান্তি দে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। চিকিৎসকরা বলেছেন তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও পুরোপুরি শংকামুক্ত ননতিনি।

প্রসংগত, ১৩ এপ্রিল রাতে ফটিকছড়ির হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের মহানগর গ্রামে গৃহবধূ মামনি বালা দে (২৫) কে গলাকেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সে ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন শ্বশুর মিলন কান্তি দে।

পরে নিহতের স্বামী রূপন কান্তি দে বাদি হয়ে ভূজপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!