পটিয়ায় মার্কেটগুলোতে জমে উঠেছে ঈদ কেনাকাটা

পটিয়ায় বিপণী বিতানগুলোতে ভিড় বাড়ছে ক্রেতাদের। পছন্দের ঈদ পোশাক নিতে মার্কেটে ঘুরেছেন রাত অবধি। শুধু পছন্দ হলেই হবে না, দরদামে বনলেই প্যাকেট করছেন বিক্রেতারা।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মঙ্গলবার (২১ মে) পনেরতম রোজার রাত থেকে ক্রেতাদের পদচারণায় ও বেচাকেনায় সরগরম হয়ে উঠেছে বাজারের মার্কেটগুলো। ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে বিক্রেতাদের পোশাক সংগ্রহেরও কমতি নেই। দশম রোজার পরই মফস্বল ও গ্রামাঞ্চলের তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সী ক্রেতারা মার্কেটে যান। এ সময় নারী-পুরুষের উপচেপড়া ভীড় লক্ষ্যণীয়।

তবে ক্রেতারা চড়াদাম নিয়ে ফের বিপাকে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে নানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লাখ লাখ টাকার পুঁজি খাটিয়ে ব্যবসায়ীরাও বিপাকে বলে দাবি করছেন। কিন্তু পনের রমজান পার হতে না হতেই ব্যবসা মোটামুটিভাবে জমে ওঠায় ব্যবসায়ীরা আশার আলো দেখছেন।

ক্রেতাদের অভিযোগ করেন, নানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে ছোট-বড়দের কাপড় চোপড়ে ব্যাপকভাবে দাম হাকাচ্ছে। অথচ বিগত বছরের তুলনায় এবছর একটু ঈদ কাপড়ের দাম বৃদ্ধি হয়েছে বলে জানান অনেকে। আবার অনেকে দামের কারণে দোকান ঘুরে ঘুরে পছন্দের কাপড় দেখছেন।

মঙ্গলবার পটিয়ার ঈদ বাজার ঘুরে দেখা যায়, নিউ মার্কেট, আলম প্লাজা, রহমানিয়া মার্কেট, তৈয়বিয়া মার্কেট, চৌধুরী সুপার মার্কেট, এন জে শপিং কমপ্লেক্স, শাহ আমির মার্কেট, গুলজার মার্কেট,আর এন মার্কেট,পটিয়া সিটি সেন্টার,দেলা মিয়া মার্কেট, বড় বাজার, মনে রেখ সহ পটিয়ার ছোট বড় অলি গলি সব ধরনের দোকানগুলোতে ক্রেতা রয়েছেন।

গৃহিণী নারগিস আকতার জানান, এখনো দোকানদাররা দাম ধরে বসে আছে।তবে গত বছরের তুলনায় দাম বেশি এবার। দাম বেশি চাওয়া নিয়ে মনে রেখ দোকানের বিক্রেতা আলমগির জানান, বর্তমান সময়ে সবকিছুর দাম বেশি। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে সে হিসাবে আমি মনে করি দাম তেমন বাড়েনি।

ঈদ বাজারকে নির্বিঘ্ন করতে পটিয়া থানা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ হতে যথাযথ ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান ওসি বোরহান উদ্দিন।

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!