চিনিবাহী কনটেইনার খালাসে প্রাণ পদ্মা ও ময়মনসিংহ এগ্রোর বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এলসিএল কনটেইনার খালাসে দেশের তিনটি বড় চিনি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে বন্দরের সৃষ্টি হচ্ছে কন্টেইনার জট। ব্যাহত হচ্ছে কনটেইনার হ্যান্ডলিং ও বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম। পাশাপাশি বাজারেও পড়ছে এর প্রভাব। বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়ে বাড়ছে চিনির দাম। যার ফলে ভোক্তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে প্রপ্ত তথ্য অনুসারে, চিনিবাহী কনটেইনার খালাসে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে এমন প্রতিষ্ঠানগুলো হলো নরসিংদীর প্রাণ এক্সপোর্ট লিমিটেড, ঢাকার পদ্মা এগ্রো ট্রেডার্স এবং গাজীপুরের ময়মনসিংহ এগ্রো লিমিটেড।

বন্দর সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দরে ৩৪ হাজার ৮৬৮ টিইইউএস এফসিএল কনটেইনার ধারণ ক্ষমতার স্থলে আনুমানিক ৩৩ হাজার ৬৫৩ টিইইউএস কনটেইনার স্থিত রয়েছে। চিনিবাহী এলসিএল কনটেইনার দ্রুত খালাস করার জন্য এই তিনটি প্রতিষ্ঠানকে সম্প্রতি দাপ্তরিক পত্র দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম বন্দর বলছে, ‘বিভিন্ন জাহাজে করে ওই তিনটি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চট্টগ্রাম বন্দরের যে পরিমাণ এফসিএল কনটেইনার আসছে তা অনুযায়ী এফসিএল কনটেইনার ডেলিভারি হচ্ছে না। ফলে চট্টগ্রাম বন্দরে এফসিএল কনটেইনারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

অভিযুক্ত তিন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বরাবর পাঠানো পত্রে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরে রমজান মাস উপলক্ষে ইতোমধ্যে চিনিবাহী বিপুল পরিমাণ কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে ডেলিভারির অপেক্ষায় পড়ে আছে। তার মধ্যে এক হাজার ৫৭৩ দশমিক ৫০ টন বা আনুমানিক ১২১ টিইইউএস চিনিবাহী কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে ডেলিভারির অপেক্ষায় রয়েছে। তাছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরে আসার অপেক্ষায় বিপুল সংখ্যক চিনিবাহী কনটেইনার অন্যান্য বিদেশি বন্দরে অপেক্ষমাণ রয়েছে। এ সকল চিনিবাহী এফসিএল কনটেইনার দ্রুত চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস করা না হলে বাজারে এ সকল ভোগ্য পণ্যের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিতে পারে। সরবরাহের ঘাটতির কারণে বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেলে জনসাধারণের উপর নেতিবাচক পড়া পড়ে।’

ওই পত্রে রমজান মাসে খাদ্যদ্রব্যের বাজার স্থিতিশীল এবং চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার ও জাহাজ হ্যান্ডলিং কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে স্থিত এসব চিনিবাহী এফসিএল কনটেইনার ডেলিভারি নেওয়া প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়াও ওই পত্রে চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম সুষ্ঠু ও গতিশীল করতে ও রমজান মাসে এসব খাদ্যদ্রব্যের বাজার স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে বন্দর থেকে চিনিবাহী এফসিএল কনটেইনার দ্রুত ডেলিভারি নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রতিষ্ঠানসমূহকে অনুরোধ করা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ওই তিনটা প্রতিষ্ঠানের আমদানি করা চিনিবাহী কনটেইনার খালাসের অবস্থা সন্তোষজনক নয়। তাই দ্রুত কনটেইনার খালাস করার জন্য প্রতিষ্ঠান তিনটিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’

এমএ/ এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!