কুমিরায় জেলেদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, আহতের সংখ্যা বেড়ে ৩০

নারী নিহত

সীতাকুণ্ডের কুমিরায় জলদাস পাড়ায় পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষে বেলাম্বু রানী জলদাশ (৫৮) নামের এক নারী নিহত হয়েছেন। সোমবার (২০ মে) রাত সাড়ে ১২টার দিকে কুমিরার ঘাটঘর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে তিন পুলিশসহ ৩০ জেলে নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন। তবে এলাকাবাসীর দাবী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শতাধিক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়েছে। পুলিশের বাধার মুখে আহতদের চিকিৎসায় হাসপাতালে নিতে না পারায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেও জানান স্থানীয়রা।
কুমিরার ঘাটঘর জেলে পাড়ার রুবেল নামের এক যুবককে পুলিশ আটক করতে গিয়ে এ সংঘর্ষ হয় বলে জানা গেছে।

এলাকাবাসী আরও জানিয়েছেন, সীতাকুণ্ড থানার উপ-পরিদর্শক এসআই জসিম উদ্দিনের জলদাস পাড়ায় নিয়মিত চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। চাঁদা না দেওয়ায় রাত ১২ টায় থানা পুলিশ রুবেল দাশ নামে এক যুবকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি থেকে তাকে আটক করতে যান এসআই জসিম। তখনই গ্রামবাসীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। পরে সেই দ্বন্দ্ব সংঘর্ষে রূপ নেয়। রুবেলের মা নিহত বেলাম্বু রানী দাশ ছেলেকে পুলিশের হাত থেকে ছাড়িয়ে নিতে গেলে পুলিশের আঘাতে তার মৃত্যু হয়।

সংঘর্ষে আহত জেলে প্রদীপ দাশ, নিশীত রাণী দাশ, মমতা দাশ, পুতুল দাশ, আংকুরী দাশ, উত্তম দাশ, পরাণী বালা দাশ, শুকতারা দাশ, পাখি দাশের নাম পাওয়া গেলেও অন্যদের নাম ও পরিচায় পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন। তিনি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ৩০ হাজার ইয়াবাসহ এক আসামিকে ধরতে গেলে পুলিশের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়। এতে একজন বৃদ্ধা নিহত হন। তবে অবস্থা উত্তপ্ত হওয়ার কথা বলে ওসি বিস্তারিত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

আমাদের উত্তর চট্টগ্রাম প্রতিনিধি কামরুজ্জামান জানান, রাত ২ টা ১০ মিনিটে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থল কুমিরা জলদাশ পাড়া ঘেরাও করে রেখেছে। এতে আহতদের চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হয়েছে।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!