কর্ণফুলীতে দুটি মাল্টিচ্যানেল স্লিপওয়ে ডকইয়ার্ডের যাত্রা শুরু

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার ঈসানগর গ্রামে দুটি মাল্টিচ্যানেল স্লিপওয়ে ডকইয়ার্ড উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ডকইয়ার্ড দুটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) কার্যাদেশে এফএমসি ডকইয়ার্ড এটি নির্মাণ করে।

অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বক্তব্য রাখেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হয় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সময় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মতিয়ার রহমান ও জসীম উদ্দিন, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শংকর রঞ্জন সাহা, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ কামাল হোসেন ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মো. আমিরুল কায়সারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

যুগ্ম সচিব জসিম উদ্দিন জানান, কর্ণফুলী উপজেলার ঈসানগরে এক একর ৭২ শতক জায়গার উপর ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের দুটি মাল্টিচ্যানেল স্লিপওয়ে ডকইয়ার্ড নির্মিত হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ৪৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

দুই চ্যানেল বিশিষ্ট এই স্লিপওয়েতে মাসে চারটি করে বছরে কমপক্ষে ৪৮ টি ট্রলার/জাহাজ মেরামত ও ডকিং-আনডকিং সম্ভব হবে। গত বছরের জুন মাসে সম্পন্ন হওয়া প্রকল্পটিতে ব্যয় হয়েছে ৪২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। বিএফডিসির নিজস্ব ১ দশমিক ৭২ একর জমিতে সরকার থেকে স্বল্প সুদে গৃহীত ঋণে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ছোট ও মাঝারি সাইজের ফিশিং ট্রলার, টাগ, বার্জের ডকিং-আনডকিং, নির্মাণ এবং মেরামত সুবিধা নিয়ে স্থাপিত এই স্লিপওয়ের অবস্থান কর্ণফুলীর দক্ষিণ পাড়ে।
প্রকল্পটি পরিচালিত হবে বিএফডিসির মাল্টিচ্যানেল স্লিপওয়ে ডকইয়ার্ড ইউনিট নামে। এখানে কাজের মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে একজন মহাব্যবস্থাপক, এজকন নির্বাহী প্রকৌশলী, একজন সহকারি প্রকৌশলী, পাঁচজন উপ সহারি প্রকৌশলীসহ প্রয়োজনীয় জনবল পদায়ন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তাদের প্রশিক্ষণ ও ওরিয়েন্টেশন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।

প্রকল্পটির দুটি স্লিপওয়ের দৈর্ঘ্য ২০০ মিটার, এখানের উইঞ্চ রয়েছে একটি, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন একটি, টি হেড জেটি একটি, ডলফিন জেটি আছে ছয়টি, প্লেট বেন্ডিং মেশিন একটি, প্লেট কাটিং মেশিন একটি, গ্যান্ট্রি ক্রেন একটি, ক্রাডল ট্রলি ২৪ টি ও ক্যাপস্টেন ও বোলার্ড রয়েছে ১৮ টি।

প্রকল্পটির মাধ্যমে মৎস্য আহরণ খাতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণের পাশাপাশি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৫৮৪ জন দক্ষ ও অদক্ষ জনবলের কর্মসংস্থান হবে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!