অফিস কিংবা বাসাবাড়ির সামনে পার্কিং স্থান থেকে আপনার প্রিয় মোটর সাইকেলটি মাত্র ৭৮ সেকেন্ডেই হাওয়া হয়ে যেতে পারে! ভাবছেন তা কীভাবে সম্ভব। এমনই অতি পারদর্শী একটি চোর চক্র সক্রিয় চট্টগ্রাম মহানগরীতে।
তারাই আপনার প্রিয় মোটর সাইকেলটি সুনিপুণ কৌশলে অতি পারদর্শিতার সঙ্গেই সাবাড় করে দেয় এক মিনিটে। চোখের পলকেই হাওয়া করে দিতে পারা আন্তঃজেলা চোর চক্রের এমনই কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকেই জানা গেছে এমন তথ্য।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) চট্টগ্রাম কক্সবাজার ও বান্দরবানে টানা অভিযান চালিয়ে এ চোর চক্রটিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারপর তারা মোটর সাইকেল ও সিএনজি অটো রিকশা চুরির বিস্তারিত জানিয়েছে পুলিশকে। তারা চুরির কৌশল হিসেবে প্রথমে রেকি করে এরপর চুরি করে গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয়। যে রেকি করে তাকে ডাকে ‘দারোয়ান’ নামে আর যে চুরি করে তাকে বলা হয় ‘কর্মী’। মূলত তারা নগরীর বিভিন্নস্থানে এভাবেই চুরি করে বেড়ায়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আন্তঃজেলা গাড়ি চোর চক্রের সদস্য নাছির (২৮), শাহজাহান (২২), কামাল উদ্দিন (২৫) ও আমানুল হক ইমন (২৩)। এদের মধ্যে প্রথম তিনজের বাড়ি কক্সবাজার জেলায় ও ইমনের বাড়ি চট্টগ্রামে। তাদের কাছ থেকে দুটি সিএনজি অটোরিকশা ও চারটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘মূলত নানা কৌশলে এই চোর চক্র নগরীর বিভিন্নস্থান থেকে শত শত মোটর সাইকেল ও সিএনজি অটোরিকশা চুরি করে। তারপর এসব গাড়ি বান্দরবান কক্সবাজারের বিভিন্নস্থানে ৫০/৬০ হাজার টাকা দিয়ে বিক্রি করে দেয়। সেখানে নাম্বার প্লেট, চেসিস নম্বর বদলে ফেলে অনটেস্ট নাম্বার বা আবেদিত নেমপ্লেটে চলাচল করে। শতশত গাড়ি চুরি করলেও কোনো সময়ে এসব চোর চক্রকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি মোটর সাইকেল চুরির মামলা তদন্ত করতে গিয়ে প্রথমে নাছিরকে বাকলিয়া থানার নতুন ব্রিজ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার তথ্যের ভিত্তিতে বান্দরবান ও কক্সবাজার থেকে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’