মেগা প্রকল্পে শুল্কমুক্ত মেশনারি পণ্য, আমদানি বাড়লেও কমেছে রাজস্ব

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ২০১৭-১৮ অর্থ-বছরের চেয়ে ২০১৮-১৯ অর্থ-বছরে আমদানির পরিমাণ বাড়লেও কমেছে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ। দেশের চলমান মেগা প্রকল্পগুলোর মেশনারি পণ্য আমদানিতে কম শুল্কহার, বেশি শুল্কের পণ্য আমদানি কমে যাওয়া এবং কম শুল্কের পণ্য আমদানি বৃদ্ধি হওয়াকে এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ কতৃপক্ষ। আবার অন্যদিকে আমদানি হওয়া পণ্য নানা কারণে খালাস না হওয়াকে আমদানি বাড়ার সাথে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ না বাড়ার কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন এইইচএস কোড অনুযায়ী ২০১৮-১৯ অর্থ-বছরে ৫ হাজার ২ শ ৪১ আইটেমের ৭ কোটি ৮৭ লক্ষ ২৪ হাজার ৭২০.৯৯ মেট্রিকটন পণ্য আমদানি হয়। ২০১৭-১৮ অর্থ-বছরে পণ্য আমদানি হয় ৭ কোটি ৬৭ হাজার ৬ শ ৯৩.৫২ কোটি মেট্রিকটন পণ্য। সদ্য শেষ হওয়া অর্থ বছরে তার আগের অর্থ-বছরের তুলনায় আমদানি বেশি হয় ৮৬ লক্ষ ৫৭ হাজার ২৬. ৮০ মেট্রিকটন পণ্য।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের ১২ আমদানি সেকশনের তথ্য অনুযায়ী ২০১৮-১৯ অর্থ-বছরে আমদানি খাতে রাজস্ব আদায় হয় ৪২ হাজার ৬৭৫.৪৮ কোটি টাকা। তার আগের অর্থ-বছরে আদায় হয়েছিলো ৪২ হাজার ৯০৫.২৫ কোটি টাকা। সর্বশেষ অর্থ-বছরে রাজস্ব আয় কমে হয়েছিলো ২ শ ২৯.৫৩ কোটি টাকা।

গত দুই অর্থ-বছরের রাজস্ব আদায়ের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থ-বছরের চেয়ে ২০১৮-১৯ অর্থ-বছরে আমদানি বাড়ে ৮৬ লক্ষ ৫৭ হাজার ২৬. ৮০ মেট্রিকটন পণ্য। পক্ষান্তরে রাজস্ব কমেছে ২ শ ২৯.৫৩ কোটি টাকা।

আমদানি বাড়ার বিপরীতে রাজস্ব কমে যাওয়া প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের কমিশনার ফখরুল আলম বলেন, ‘দেশে চলমান মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে, মেট্রোরেলসহ মেগা প্রকল্পের শুল্কমুক্ত মেশিনারি পণ্য আমদানি, বেশি শুল্কের পণ্য আমদানি কমে যাওয়া, বন্ড সুবিধাসহ নানাবিধ কারণে আমদানি বাড়লেও কমেছে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ। তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে আমদানিকৃত বেশকিছু পণ্য চালান শুল্ক ফাঁকিসহ নানাবিধ কারণে আটকে যাওয়াও রাজস্ব কমে যাওয়ার কারণ।

এসসি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!