বিয়ের প্রলোভনে গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণ

চার নারীসহ ছয়জন গ্রেফতার

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক গার্মেন্টস কর্মীকে নিয়মিত ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ছয়জনের মধ্যে চারজন মহিলা।

মঙ্গলবার (১৬এপ্রিল) ভোরে নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো.নিজাম উদ্দিন (৩০) ও তার স্ত্রী তানিয়া বেগম (২৭), পপি বেগম(৩০), সোনিয়া বেগম(২২), ফিরোজা বেগম(৬৫) এবং মো.লিটন (২৯) কে গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার (১৫এপ্রিল) রাতে সদরঘাট থানায় এসে ১৬ বছর বয়সী ওই গার্মেন্টস কর্মী একটি মামলা দায়ের করেন বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
মামলার গ্রেফতার ছয়জনের মধ্যে নিজামের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ ও অন্যদের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানিয়েছেন সদরঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রুহুল আমীন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিমকে শারীরিক নির্যাতনে সহায়তা করেছে মূল অভিযুক্ত নাজিমের স্ত্রী তানিয়া বেগম (২৭) শালী,শাশুড়ী এবং নানী ফিরোজা বেগম। স্ত্রী তানিয়া ব্যপারটি জানার পর ভিকটিমকে ধরে এনে মারধর করে ও চুল কেটে দিয়ে অপদস্ত করে স্বীকারোক্তিমূলক ভিডিও চিত্রটি ধারণ করেন।

সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.নেজাম উদ্দিন বলেন, নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে গত দশ মাস ধরে ওই মেয়ের সাথে প্রেম করে আসছে নিজাম উদ্দিন। গত ১ এপ্রিল বিয়ে করবে বলে ওই মেয়েকে তার বাসা থেকে নিয়ে ডবলমুরিং থানাধীন চৌমুহনী নজীরপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় রেখে নিয়মিত ধর্ষণ করে। পরে ভিকটিম বিয়ের জন্য চাপ দিলে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে নিজাম। তারই কিছুদিন পরে (৭ এপ্রিল) ওই বাসা থেকে মেয়েটিকে সদরঘাট থানাধীন মাদারবাড়ি বাটা কোম্পনির ভবনে ধরে এনে নৃশংসভাবে মারধর করে মামলার ছয় অভিযুক্ত। ওই সময় মেয়েটির চুল কেটে দেয়া হয় ও ভিকটিমের স্বীকারোক্তিমূলক ভিডিওচিত্র ধারণ করে। আহত অবস্থায় মেয়েটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। সোমবার সুস্থ হয়ে সদরঘাট থানায় মামলা দায়ের করলে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানান ওসি নিজাম।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!