বন্দরের জট কমাতে মেট্রোপলিটন চেম্বারের ছয় সুপারিশ

ঘূর্ণিঝড় ফণীর ব্যাপকতা এখন অনেকাংশে কমে যাওয়ায় জরুরিভিত্তিতে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানি পণ্য ডেলিভারি চালুর দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। একইসঙ্গে বন্দরের জট কমাতে ছয়টি সুপারিশ পেশ করেছে এই সংগঠন। এসব সুপারিশ জানিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের কমিশনার বরাবর শনিবার (৪ মে) পত্র দিয়েছে মেট্রোপলিটন চেম্বার।

বন্দরের জট কমাতে পত্রে উল্লেখ করা সুপারিশগুলো হলো দিন-রাত বন্দর থেকে ডেলিভারি চালু রাখার জন্য কাস্টম অফিসার নিয়োজিত রাখতে কাস্টম কমিশনারকে বন্দর থেকে অনুরোধপত্র পাঠানো; আবহাওয়া সংকেত কমামাত্র রপ্তানি বোঝাইয়ের জন্য বহির্নোঙ্গরে প্রেরিত সাতটি জাহাজকে ফিরিয়ে এনে কন্টেইনার বোঝাই শুরু করা; কনটেইনার জাহাজ বন্দরে বার্থিং নেওয়ামাত্র হুক পয়েন্ট থেকে সরাসরি ডেলিভারি প্রদানের ব্যবস্থা করা; অফ ডক থেকে কনটেইনার, ট্রলি বন্দরে ঢোকার এক ঘন্টার মধ্যে তা বেরিয়ে আসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা এবং বন্দরে জট না হওয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর ৭ দিন ২৪ ঘন্টা বন্দর পরিচালনার নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শুক্র ও শনিবার কাস্টম কার্যক্রম চালু রাখাসহ সকল শিপিং কোম্পানি, ফরওয়ার্ডার এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, সোনালী ব্যাংক কাস্টম শাখাসহ বন্দর কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট চট্টগ্রামের ব্যাংকসমূহের একটি বুথ খোলা রাখার জন্য বন্দর থেকে জরুরি পত্র প্রেরণ ও একটি সভার ব্যবস্থা করা।

সহ-সভাপতি এএম মাহবুব চৌধুরী স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে মেট্রোপলিটন চেম্বার আরো বলেছে, ‘চট্টগ্রাম বন্দর জট দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের রপ্তানি শিল্প। এ জট আসন্ন রমজানের পণ্য সামগ্রীর বাজারমূল্য উর্ধমূখী করবে। দেশীয় শিল্পের উৎপাদন ব্যাহতসহ রাজস্ব আহরণ ব্যাহত হবে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার মনে করে, উল্লেখিত ব্যবস্থাসমূহ গৃহীত হলে চট্টগ্রাম বন্দর জটের যে পরিস্থিতি হয়েছে; তা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে।’

এমএ/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!