বখাটের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হলেন বাবা

বখাটেপনার প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলেন ছেলে। বখাটের দল তাতে চড়াও হয় তার ওপর। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে ছুরির আঘাতে খুন হলেন পিতা। চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার মুরাদপুর পিলখানা রোডে ঘটলো মর্মান্তিক এই ঘটনা।

বখাটেপনার প্রতিবাদকারী ছেলেকে বখাটেদের মারধর থেকে বাঁচাতে গিয়ে সেই বখাটেদের ছুরিকাঘাতেই খুন হলেন মোস্তাক আহমেদ (৪৫)। তিনি নগরীর পাঁচলাইশ থানার মুরাদপুর পিলখানা রোডের সাতকানিয়া স্টোরের মালিক। তবে হত্যাকারীসহ দুজনকে জনগণের সহযোগিতায় আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার রাত দশটার দিকে নগরীর পাঁচলাইশ থানার মুরাদপুর পিলখানা রোডেই এ ঘটনা ঘটে। খুনের দায়ে আটক বখাটে শাহাদাত ও সাজ্জাদ দুজনই স্থানীয় এক সরকার দলীয় বড় ভাইয়ের আশ্রয়ে থাকতো বলে জানা গেছে। তাদের বয়স ২১ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূইয়া চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, মুরাদপুর পিলখানা রোডের নিহত মোস্তাকের একটি মুদির দোকান আছে। তার পাশেই ছেলে নাঈমের মুরগির দোকান আছে। এই দোকানের সামনে নাইমের সমবয়সী স্থানীয় কিছু বখাটে যুবক আড্ডা দিত। তাদের দলনেতা রাব্বী নামে একজনকে এ নিয়ে শাসান মোস্তাকের ছেলে নাঈম। এর জের ধরে রাব্বী দলবল নিয়ে নাঈমকে মারার জন্য রাতে দোকানের সামনে আসে। একসময় ছেলেকে মারতে দেখে নিজ দোকান থেকে ছুটে যান বাবা মোস্তাক। তিনি এ সময় ঝাপটে ধরেন রাব্বীর গ্রুপের শাহাদাত নামে একজনকে। এরই ফাঁকে শাহাদাত নাঈমের বাবা মোস্তাককে ছুরিকাঘাত করে। বিষয়টি দেখে স্থানীয়রা এই বখাটের দলকে গণপিটুনি দেয়। এ সময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও শাহাদাত ও সাজ্জাদ নামে দুজনকে ধরে পুলিশে দেয় জনতা।

পরে মোস্তাককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি কাসেম ভূইয়া বলেন, ‘ওই বখাটেরা যার শেল্টারেই থাকুক কিংবা যে দলই করুক। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোন ছাড় নেই।’

এডি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!