ফেসবুকে দেখে দুই ঘন্টার মধ্যে নিউমার্কেটের হকার উচ্ছেদ

রমজানে ফুটপাত একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য হকারদের ছেড়ে দিলেও এর আগে থেকে দিনের বেলায় হকারমুক্ত করা হয় নগরীর কোতোয়ালী থানার নিউমার্কেট এলাকাকে। তবে ঈদের ছুটিতে সেই নিউমার্কেট এলাকার সড়ক ও ফুটপাত আবার ভাসমান হকারদের দখলে চলে যায়। এ নিয়ে ডিএসসি নামের একটি ফেসবুকভিত্তিক গ্রুপে পোস্ট দেন এক ব্যক্তি।

এর ঘন্টাদুয়েকের মধ্যেই কোতোয়ালী থানা পুলিশ সব ভাসমান হকার তুলে দিয়ে যাতায়াতের জন্য ফুটপাতকে উন্মুক্ত করে দেয়। এ ঘটনার পর আবার সেই পোস্টদাতা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে আবার ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কোতোয়ালী থানার ওসিকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন। এতে বেশিরভাগ ফেসবুক ব্যবহারকারী ওসি মোহাম্মদ মহসীনের প্রশংসা করেছেন।

chittagong-new-market-footpath
ফেসবুকে পোস্ট দেখে কোতোয়ালী থানা পুলিশ ৩০টি ভাসমান দোকান উচ্ছেদ করে

এটিই শুধু নয়, এর আগেও ফেসবুকে পোস্ট দেখে এক কলেজছাত্রীকে ইভিটিজিংকারী দুই বখাটেকে গ্রেপ্তার করেছিলেন ওসি মহসীন। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করেছিলেন ওই ছাত্রী।

মঙ্গলবার (১১ জুন) বিকেলে নাজমুল বাহার চৌধুরী সাকিব নামে একজন ফেসবুকে হকার বসা অবস্থায় কয়েকটি ছবি পোস্ট করেন। এতে তিনি লিখেন, ‘দেখুন বিপণি বিতানের সামনের পথচারী পারাপারের গলিটা হকাররা দখল করে রেখেছে। পুলিশ পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে…এগুলো প্রতিরোধ করার কার দায়িত্ব?’

এ বিষয়টি নজরে আসে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীনের। তিনি তাৎক্ষণিক ফোর্স পাঠিয়ে হকার মুক্ত করেন। জানতে চাইলে ওসি মহসীন বলেন, ‘নিউ মার্কেট এলাকা নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে এমনি হকারমুক্ত। তবে ঈদের ছুটিতে হয়তো কেউ কেউ বসেছিল। ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আমি ফোর্স পাঠিয়ে হকারমুক্ত করি। এসময় অন্তত ৩০টি ভাসমান দোকান উচ্ছেদ করা হয়।’ এ নিয়ে ফেসবুকে পোস্টদাতাকেও ধন্যবাদ জানান তিনি।

chittagong-new-market-footpath
পুলিশি অ্যাকশনের পর

ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার পর ঘন্টাদুয়েকের মধ্যে থানার ওসির কাছ থেকে এরকম সাড়া পেয়ে দারুণ খুশি পোস্টাদাতা নাজমুল বাহার চৌধুরী সাকিব । তিনি বলেন, ‘আসলে আমি ওভারব্রিজের পাশ দিয়ে বিপণিবিতানের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম। বিপণিবিতান মেইন গেইটের মুখ দিয়ে রাস্তায় নামতে চেয়েছিলাম বাট নামার সময় দেখি পুরো বিপণিবিতানের রাস্তা হকাররা দখল করে আছে। এমনভাবে দখল করেছে রাস্তা থেকে বিপণিবিতানের ফুটপাতে উঠানোর বিন্দুমাত্র জায়গা নেই। আমাকে উল্টো দোস্ত বিল্ডিং হয়ে ঘুরে স্টেশন রোডে যেতে হলো। আমিসহ কিছু লোক হকারগুলোকে পথ সরানোর কথা বলি! উল্টো আমাদের ওপর রেগে গেল তারা! এই এলাকাটি খুব বিপজ্জনক জায়গা। নিরুপায় হয়ে ছবি তুলে ডিএসসি গ্রুপে দিলে কোতোয়ালি থানার ওসি মহসীন স্যার তখন সাথে সাথে অ্যাকশন নিলেন। তবে বিষয়টা দেখে আমি খুব অবাক হলাম এবং খুব ভালো লাগলো আমার কাছে।’

এডি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!