ফণীর প্রভাবে মাছের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০-১৫০ টাকা

বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাব পড়েছে মাছের বাজারে। সরবরাহ কমে যাওয়ায় দুই দিনের ব্যবধানে মাছের প্রকার ও বাজার ভেদে দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ৫০-১৫০ টাকা পর্যন্ত। তবে কোল্ড স্টোরে সংরক্ষিত মজুদ থেকে ক্রেতাদের মাছের চাহিদা মেটাচ্ছেন বিক্রেতারা। বিক্রেতারা বলছেন, ‘শনিবার (৪ মে) থেকে মাছের সরবরাহ আরো কমে যাবে। আরো বাড়বে মাছের দাম।’

জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’র ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচতে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহ গভীর সমুদ্রে যাচ্ছে না। এর ফলে বাজারে সামুদ্রিক মাছের সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

ফণীর প্রভাবে মাছের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০-১৫০ টাকা 1

তবে নগরীর ফিশারীঘাটের লোকজনে সাথে কথা বলে জানায়, মাছ ধরার যে সব নৌকা ও ট্রলার আগে মাছ ধরতে গিয়েছিল, সেগুলো এখন ফিরে আসছে। শুক্রবার (৩ মে) সকালেও ফিশারী ঘাটে প্রচুর মাছ ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।

নগরীর বাজারগুলোতে দেখা গেছে, ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা কেজি দরে; দুই দিন আগে ছিল ৮০০ টাকা। কেজি প্রতি ৫০০ টাকার দামের কোরাল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা দরে। দুই দিন আগের ৫৬০ দামের লাল কোরাল বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি প্রতি। ১৬০ টাকা দামের লইট্টা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা।

কাজীর দেউড়ী বাজারের মাছবিক্রেতা আলী নেওয়াজ জানান, মাছের দাম কেজি প্রতি ৫০ টাকা থেকে ১৫০ পর্যন্ত বেড়েছে। মাছ ধরার জন্য ট্রলার সমুদ্রে যেতে পারছে না। আগের মজুদ করা মাছ বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি পুকুরে চাষ করা জীবিত দেশী মাছও বিক্রি হচ্ছে।

chittagong-fish-market

চকবাজারের মাছবিক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বাজারে সামদ্রিক মাছ কম। গত পরশু (বুধবার) ভারতীয় বড় রুই মাছের মন প্রতি দাম ছিল ৭ হাজার ৬০০ টাকা। আজ শুক্রবার (৩ মে) মন প্রতি দাম পড়েছে ৭ হাজার ২০০ টাকা। ১৯০ টাকার রুই মাছ আজ বিক্রি করছি ২০০ টাকা দামে।’

জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করেন, ফিশারী ঘাট থেকে আড়ৎদারেরা দাম বাড়াচ্ছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সোনালী যান্ত্রিক মৎস্য শিল্প সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুল হক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ফিশারী ঘাট থেকে আড়তদারেরা দাম বাড়াবে কেন? দুই দিন ধরে আবহাওয়া খারাপ। বোট সমুদ্রে যেতে পারছে না। মাছের সরবরাহ কমে গেছে। তাই দাম বেড়েছে। আবহাওয়া ঠিক হলে প্রচুর মাছ পাওয়া যাবে। দামও কমে যাবে।’

উল্লেখ্য, শুক্রবার (৩ মে) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের চার নম্বর বিশেষ বুলেটিনে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

এমএ/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!