পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর অকেজো মোটরসাইকেল নিলামে তুলছে ওয়াসা

ডাম্পিং না করে প্রায় ১৯ থেকে ২৮ বছরের পুরাতন ও অকেজো মোটরসাইকেল বিক্রির জন্য নিলামে তুলছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। পুরাতন ও অকেজো ১৪টি মোটরসাইকেল নিলামে বিক্রির বিষয়ে কনডেমনেশন কমিটির সুপারিশ বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিতব্য ওয়াসার দ্বিতীয় বিশেষ বোর্ড সভায় অনুমোদন হওয়ার কথা রয়েছে। মোটর সাইকেলগুলো বিক্রি করা হলে অলাভজনক যানবাহন ব্যবস্থাপনার দায়মুক্ত হবে বলে মনে করছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া এই সব মোটর সাইকেল পুনরায় ব্যবহার করা হলে স্বল্পমাত্রায় হলেও পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে।

জানা যায়, ঘন ঘন ত্রুটির কারণে এসব মোটরসাইকেল প্রায়ই অচল থাকে এবং পুনঃ পুনঃ মেরামত করে চালানোর ফলে নির্ভরযোগ্য সার্ভিস পাওয়া যাচ্ছে না। ঘন ঘন মেরামত করে চালানোর ফলে অলাভজনক হয়ে পড়েছে। অনেক পুরাতন মডেল হওয়ায় বর্তমান স্থানীয় বাজারে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ সহজলভ্য নয়, বুক ভ্যালু শূন্যের কোঠায় এবং মেরামত করে নির্ভরযোগ্য ব্যবহার উপযোগী করে বাজারমূল্যের ৫০ শতাংশের বেশি ব্যয় হবে বিবেচনায় ১৪টি মোটরসাইকেল অকেজো ঘোষণা ও নিলামে বিক্রির সুপারিশ করেছে চট্টগ্রাম ওয়াসার কনডেমনেশন কমিটি। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে এসব মোটর সাইকেল কেনা হয়েছিল। এসব মোটরসাইকেলের মধ্যে চারটি ৫০ সিসি, ছয়টি ৮০ সিসি, দুটি ১০০ সিসি এবং দুটি ১২৫ সিসি। নিলামে মোটরসাইকেলগুলোর দাম ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ১২ হাজার ৫০০ টাকা। এসব মোটর সাইকেল নিলামে তুলে বিক্রি করে ওয়াসা সম্ভাব্য আয় ধরেছে এক লাখ ২৮ হাজার ১৫০ টাকা।

অকেজো মোটর সাইকেল পুনরায় রাস্তায় চললে কী সমস্যা হতে পারে জানতে চাইলে বিআরটিএ চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ‘ব্যবহারের অনুপযোগী হলে ব্যবহার করতে পারবে না। ফিটনেস থাকলে চলতে পারবে, ফিটনেস না থাকলে চলতে পারবে না।’

এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে বারবার যোগাযোগ করা হলেও মুঠোফোনে সাড়া মেলেনি চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহর।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ওয়াসার যানবাহন কর্মকর্তা আবুল বশর চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা সরকারি নিয়ম অনুসরণ করছি। সরকারি নিয়ম অনুসারে মোটর সাইকেলগুলো নিলামে তুলে বিক্রি করতে হবে।’

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!