নির্ধারিত সময়ে শ্রমিকদের বোনাস দেয়নি সিইপিজেডের ৮১ প্রতিষ্ঠান

শ্রমিকদের বেতন বোনাস পরিশোধে সংশয় ছিল ২২ প্রতিষ্ঠান নিয়ে। সংশয় সত্যি হলোই বরং প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা আরো বাড়লো। নির্ধারিত সময়ে চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) কর্মরত গার্মেন্টস শ্রমিকদের ঈদের বোনাস দিতে পারেনি ৮১ প্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় করণীয় নির্ধারণ করতে সোমবার (২৭ মে) প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা)।

জানা যায়, ২৩-২৫ মের মধ্যে সিইপিজেডের শ্রমিকদেরকে ঈদের বোনাস প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহকে নির্দেশ দিয়েছিল। একইসাথে ২৮ মের মধ্যে চলতি মে মাসের বেতন পরিশোধ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। গত ৫ মে এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ করেছিলেন বেপজার জেনারেল ম্যানেজার (এন্টারপ্রাইজ সার্ভিস) মেহেবুব আলী। তবে বেপজার কর্মকর্তারা ধারণা করেছিলেন এই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সিইপিজেডের প্রতিষ্ঠানগুলো বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে পারবে না।

জানা যায়, বেতন-বোনাস প্রদানে পিছিয়ে পড়তে পারে সিইপিজেডের এমন ২২ প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সাথে বুধবার (২২ মে) বেপজার কর্মকর্তারা বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের বোনাস ও বেতন পরিশোধ করার জন্য প্রতিষ্ঠানসমূহের মালিকদের তাগাদা দিয়েছেন বেপজার কর্মকর্তারা।

বেপজার কর্মকর্তারা জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সিইপিজেডের সবগুলো প্রতিষ্ঠান বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে পারবে না। তবুও প্রতিষ্ঠানসমূহকে চাপে রাখার জন্যই সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। রোববার (২৬ মে) পর্যন্ত মোট ৯০ প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদেরকে ঈদের বোনাস প্রদান করেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮৩ সালে ৪৫৩ একর জায়গার উপর তৈরি করা হয়েছে সিইপিজেড। এতে ১৭১ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে দুই লক্ষাধিক শ্রমিক কাজ করে। এদের মধ্যে প্রায় ৬৫ শতাংশ শ্রমিকই নারী।

শ্রমিকদের বোনাস প্রদানের বিষয়ে জানতে চাইলে সিইপিজেডের মহা-ব্যবস্থাপক খুরশিদ আলম রোববার (২৬ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘রোববার দুপুর পর্যন্ত সিইপিজেডের ৯০ প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদেরকে ঈদের বোনাস প্রদান করেছে। যেসব প্রতিষ্ঠান এখনো ঈদের বোনাস দেয়নি; সেসব প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সাথে সোমবার এ ব্যাপারে আমরা বৈঠক করবো।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অফিস অর্ডার তো থাকবেই। তারপরেও মালিক/বিনিয়োগকারীদের সুবিধা-অসুবিধা আছে। তাদের পরিকল্পনাও আমাদেরকে দেখতে হবে। এক মাসে তিনটা পেমেন্ট করতে হচ্ছে। এপ্রিলের বেতন, ঈদের বোনাস ও আবার মে মাসের বেতন। সেই কারণে আমরা বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছি। আশা করি, আজ-কালের মধ্যে সব প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদেরকে ঈদের বোনাস দিয়ে দেবে।’

এমএ/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!