জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রামের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় কর্তৃক নগরীর ইপিজেড, সদরঘাট ও কোতয়ালী থানা এলাকায় চার তদারকিমূলক অভিযান পরিচালিত হয়।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল দশটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত এ অভিযান চলে।এ সময় ১৪ প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে ৬ প্রতিষ্ঠানকে একান্ন হাজার (৫১,০০০)টাকা জরিমানা করা হয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারা অনুসারে প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা করা হয়।
এ সময় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, অনুমোদনহীন সস, বাসি খাবার, ব্যবহৃত কাগজে প্রস্তুত খাবারের ঠোঙ্গা, খাদ্য দ্রব্য পরিবেশনের জন্য রাখা ছাপা সংবাদপত্র ধ্বংস করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় এর উপ-পরিচালক প্রিয়াংকা দত্ত, সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) বিকাশ চন্দ্র দাস এবং চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান অভিযানগুলো পরিচালনা করেন।
এ সময় ইপিজেড থানাধীন বিসমিল্লাহ ফার্মেসিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ও মেয়াদবিহীন ওষুধ সংরক্ষণ করায় দুই হাজার, একই অপরাধে নিউলাইফ মেডিকোকে চার হাজার টাকা জরিমানা করে ওই ওষুধগুলো ধ্বংস করা হয়।
সদরঘাট থানা এলাকায় সংবাদপত্রে খাবার সংরক্ষণ, ফ্রিজে কাঁচা মাছ-মাংস ও খোলা অবস্থায় রান্না করা খাবার একই সাথে সংরক্ষণ, নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরির জন্য মাঝিরঘাট এলাকার মরিয়ম হোটেলকে পনের হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই অপরাধে নিউ আল মক্কা হোটেলকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
কোতয়ালী থানা এলাকায় সংবাদপত্রে খাবার সংরক্ষণ করায় জাফর বেকারিকে দশ হাজার, একই প্রতিষ্ঠানকে মোড়কজাত পণ্য বিধিমালা লংঘন করে খাদ্যদ্রব্য মোড়কে রাখায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং মা ঝাল বিতানকে সংবাদপত্রে খাবার সংরক্ষণ করায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়। খবর বিজ্ঞপ্তির