জলাবদ্ধতা নিরসন/রুবি সিমেন্টের সেই দেওয়াল গুড়িয়ে দিয়েছে সেনাবাহিনী
চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রধান বাধা নগরীর খাল পাড়ে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদের পর এবার বিমানবন্দর সড়কের আলোচিত সিমেন্ট ক্রসিং এলাকার রুবি সিমেন্টের সেই দেওয়াল গুড়িয়ে দিয়েছে সেনাবাহিনী।
সিডিএর স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে এ অভিযানে সহযোগিতা করে ইপিজেড থানা পুলিশসহ সেনাবাহিনীর ৩৪ বিগ্রেড ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে চলা এ উচ্ছেদ অভিযান সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছিল বলে জানিয়েছেন জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল আবু সাদাত মোহাম্মদ তানভীর।
তিনি বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসরনের জন্য খাল পাড়ে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনার পাশাপাশি রুবি সিমেন্টের বিশাল দেওয়ালটিও কম দায়ী না। এ দেওয়ালের কারণে সিমেন্ট ক্রসিং এলাকার পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হচ্ছিল। অনেক বাধা বিপত্তির পরও আজ (বৃহস্পতিবার) সিডিএর ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের সহযোগিতায় আমাদের ৩৪ বিগ্রেড ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যরা তা গুড়িয়ে দিয়েছে। আগামীকাল দেওয়ালের অবশিষ্ট অংশ ভাঙা হবে।’
জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য নগরীর ১৩ খালে প্রায় ১৬০০ স্থাপনায় পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে। গত ২ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের প্রথম দিনেই রাজখালী খাল, পরের দিন নোয়াখালে অভিযান চালানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, যেসব খালে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালিত হবে সেগুলো হলো- মহেশখাল, মহেশখালী খাল, খন্দকিয়া খাল, গয়নাছড়া খাল, ডোমখালী খাল, বিরজা খাল, বামনশাহী খাল, ত্রিপুরা খাল, টেকপাড়া খাল, রাজাখালী-২ খাল, নোয়াখাল, মরিয়মবিবি খাল ও চাক্তাই খাল।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সিডিএর সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এরপর সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর খালের উভয় পাশে রিটেইনিং ওয়াল, রাস্তা নির্মাণ ও নিচু ব্রিজগুলো ভেঙে উঁচু করার কাজ শুরু করে। পাশাপাশি খাল থেকে ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রমও শুরু হয়।
ডিপিপি অনুযায়ী গৃহীত এ মেগা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তিন বছর মেয়াদী এ প্রকল্পে প্রাথমিক পর্যায়ে ২০১৮ সালে ৩৬ খালের মাটি অপসারণসহ ৩০০ কিলোমিটার নতুন ড্রেন নির্মাণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ১০০ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ ও ২০২০ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরে ৩৬ খাল খনন, খালের পাশে ১৭৬ কিলোমিটার প্রতিরোধক দেয়াল, ৮৫ কিলোমিটার সড়ক, ৪২ সিল্ট ট্র্যাপসহ নানা অবকাঠামো নির্মাণ করার কথা রয়েছে।
এডি/এসএস