জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পে গতি নেই
এ বছরও জলবদ্ধতার ভোগান্তি থেকে এ নগরবাসী রক্ষা পাবে না বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে নিজ দপ্তরে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ও সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন বিগ্রেডের কর্মকর্তাদের অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এই আশংকা প্রকাশ করেন।
বৈঠকে আ জ ম নাছির বলেন, ‘গত দেড় বছরে মেগা প্রকল্পের তেমন অগ্রগতি পরিকলক্ষিত হচ্ছে না। নগরীতে জলজট সৃষ্টি হলেই নগরবাসী সিটি করপোরেশনকে দোষারোপ করে। নগরবাসীর এ ভোগান্তি লাঘবের জন্য চসিক ইতোমধ্যে অনেকবার সিডিএ-কে পত্র দিয়ে আলোচনার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। যাতে জলবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে চসিক ও সিডিএর মধ্যে সমন্বয় হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগরের জলবদ্ধতা নিরসনে এই মেগা প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছার ফসল। এই প্রকল্প যাতে শতভাগ বাস্তবায়িত হয়, সে ব্যাপারে চসিক সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে যাবে। এ কাজে চসিকের পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। আরো রয়েছে জনবল। এছাড়া কাউন্সিলরদেরও অভিজ্ঞতা রয়েছে।’
বৈঠকে মেয়র জলবাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থরা উপস্থিত কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা ও দেন।
বৈঠকে উপস্থিত সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তানভীর মেয়রের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নে চসিকের সহযোগিতা নেবেন বলে জানান। বৈঠকে চসিক ও সিডিএ প্রকল্পে যে সমস্ত কাজ ওভারলেপিং হয়েছে; সেগুলো সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠকে চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা,প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল মহিউদ্দিন আহমেদ এবং সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন বিগ্রেডের ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক, সিডিএ প্রধান প্রকৌশলীসহ চসিকের তত্বাবধায়ক ও নির্বাহী প্রকৌশলীগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার একটি মেগা প্রকল্প চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে চট্টগ্রাম নগরকে কিভাবে জলাবদ্ধতামুক্ত রাখা যায় সেই বিষয়ে সিডিএ ও সেনাবাহিনীকে আলাপ-আলোচনা এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে সমন্বয় সাধনের জন্য বৈঠকের আমন্ত্রণ জানান আ জ ম নাছির উদ্দীন। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছে সিডিএ ও সেনাবাহিনী।
