চার্জার লাইটে স্বর্ণের বার/ সেই চীনা তরুণ ২ বছরে বাংলাদেশে এসেছেন ৪৩ বার

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৪ পিস স্বর্ণের বারসহ আটক চীনা নাগরিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে কোনো কিনারা পাচ্ছে না পুলিশ। ভাষাগত সমস্যার কারণে পুলিশের করা কোনো প্রশ্নের উত্তরই দিতে পারছেন না তিনি। ফলে তার স্বর্ণ চালানের বিস্তারিত উদঘাটনে বেগ পেতে হচ্ছে পুলিশ। এখন ইংলিশ ও বাংলা ভাষা না বোঝায় চীনা ভাষায় কথা বলার জন্য একজন দোভাষীর খোঁজ করছে পুলিশ।

তবে তার পাসপোর্ট দেখে কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, তিনি ২০১৮ ও ২০১৯ সালে বাংলাদেশ ৪৩ বার প্রবেশ করেছেন আর ৪২ বার দেশ ত্যাগ করেছেন। সুনির্দিষ্ট উত্তর দিতে না পারলেও কম সময়ে এতোবার বাংলাদেশে আসা-যাওয়ায় নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে খোদ কাস্টমস কর্মকর্তাদের মাঝেও।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. নুর উদ্দিন মিলন বলেন, ‘বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট বিজি-১৪৮ দুবাই থেকে যাত্রা শুরু করে বুধবার চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। স্ক্যানিংয়ের সময় চার্জার লাইটে ধাতব পদার্থ থাকায় সন্দেহ হয় কাস্টমস কর্মকর্তাদের। এরপর চার্জার লাইটটি ভাঙা হলে এর ভেতর পাওয়া যয় ২৪ পিস স্বর্ণের বার। ফ্যান রংগুই নামের ওই চীনা নাগরিক চার্জার লাইটে লুকিয়ে এসব স্বর্ণের বার আনছিল। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বাজারমূল্য ১ কোটি ২০ লাখ টাকা।’

নুর উদ্দিন মিলন আরো বলেন, আটককৃত চীনা নাগরিক ফ্যান রংগুই ২০১৮ ও ১৯ সালে বাংলাদেশে ৪৩ বার প্রবেশ করেছেন এবং দেশ ত্যাগ করেছেন ৪২ বার। স্বর্ণ পাচারের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চীনা নাগরিক ফ্যান রংগুইর বিরুদ্ধে পতেঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এদিকে পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘স্বর্ণসহ আটক চীনা নাগরিক ফ্যান রংগুইকে নিয়ে আমরা বিপাকে আছি। তিনি ইংরেজিও বোঝেন না, আবার বাংলাও না। ফলে তাকে কোনভাবেই আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারছি না। এখন দোভাষীর খোঁজ করছি।’

এডি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!